English

32.4 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫
- Advertisement -

শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা হোক: প্রাথমিকে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

- Advertisements -
শিক্ষাজীবনের ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। ভিত্তি মজবুত না হলে পরবর্তী শিক্ষাজীবনে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দুর্বল ভিত্তির কারণে বহু শিক্ষার্থী পরবর্তী ধাপের শিক্ষাজীবনে তাল সামলাতে পারে না এবং ঝরে পড়ে। তাই উন্নত বিশ্বে প্রাথমিক শিক্ষাকে আকর্ষণীয় ও সাবলীল করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আমাদের দেশে ঠিক যেন তার উল্টো চিত্র। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, বছরের পর বছর ধরে শিক্ষকের বহু পদ খালি পড়ে থাকে, মাথার ওপর ছাদ থাকলে পলেস্তারা খুলে পড়ে, টিন থাকলে ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি ঝরে, টুল-টেবিলসহ শিক্ষা উপকরণের সংকটও প্রবল। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ এবং পাঠদান কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার।
সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯ হাজার ৫৭২টি বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আছে এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পাবে। এসব পদে পদোন্নতি পাবেন কেবল বিদ্যমান সহকারী শিক্ষকরাই। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি কোনো নিয়োগ দেওয়া হবে না।
সৃজনকৃত পদগুলো পদোন্নতিযোগ্য হওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় এটি অন্তর্ভুক্ত করার পর সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা হবে প্রধান শিক্ষকদের নিচে এবং সহকারী শিক্ষকদের ওপরে।
জানা যায়, এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার সম্মতি দিয়েছে। এখন অর্থ বিভাগ, প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আশা করা হচ্ছে, এই নিয়োগের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আরো বাড়বে।
জানা যায়, পর্যায়ক্রমে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার দুরবস্থার অসংখ্য চিত্র উঠে আসছে। উঠে আসছে অসংগতিরও নানা চিত্র। শুধু শিক্ষকের সংকট নয়, অনেক স্কুলে শিক্ষার পরিবেশও নেই। অনেক স্কুলে মাঠ নেই। অনেক স্কুলের মাঠে হাটবাজার বসে। বহু স্কুলের পাশেই রয়েছে ইটভাটা। কালো ধোঁয়ার মধ্যে কাশতে কাশতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করে। এসব সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারকে পর্যায়ক্রমে উদ্যোগী হতে হবে। শিক্ষকদের সমস্যাগুলোও দেখতে হবে। আমরা চাই, প্রাথমিক শিক্ষাকে আনন্দময় ও যুগোপযোগী করে তোলা হোক।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/eq2y
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন