অভিযোগ আছে, প্রশাসন ও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলে মা-ইলিশ নিধন। তা ছাড়া নিজস্ব ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রশাসনের স্পিডবোট বা টহল নৌকা দিয়ে নজরদারি করা হয়। এই নৌকা যাত্রা করলেই মোবাইল ফোনে খবর চলে যায় জেলেদের কাছে। তারা দ্রুত লুকিয়ে পড়ে। এই জেলেদের মধ্যে প্রশাসনের খাদ্য সহায়তা পাওয়া এবং না পাওয়া উভয় ধরনের জেলেই রয়েছেন। প্রতিবেদক দেখেছেন, একজন জেলের জালে ওঠা ৯টি ইলিশের মধ্যে সাতটিরই পেটে ডিম ছিল। আর রয়েছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি।
ইলিশ ধরার জন্য সর্বনিম্ন ৬.৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের সুতার জাল ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও প্রায় সবাই আরো কম ব্যাসের কারেন্ট জাল ব্যবহার করেন। ১.৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের জালও রয়েছে। আছে মশারির মতো পাইজাল, এতে সব ধরনের মাছের পোনা আটকায়। এসব জাল ব্যবহারের জন্য পুলিশকে মাসে নির্ধারিত অঙ্কের টাকা দিতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে জাটকা ও মা-মাছ সংরক্ষণ করা কিভাবে সম্ভব হবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংরক্ষিত সময়ে জেলেদের প্রণোদনা বা সহায়তা বাড়াতে হবে। মাছ আহরণ, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রয়—সব পর্যায়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। যারা আইন লঙ্ঘন করবে, তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমাদের জাতীয় সম্পদ ইলিশকে রক্ষা করতেই হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/9jo4