সাইবার স্পেসে ভুক্তভোগীদের দেওয়া মতামতের ভিত্তিতে ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, অনলাইন প্ল্যাটফরমে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসে প্রতারণা, ঋণ দেওয়া, প্রতারণামূলক অ্যাপ ব্যবহারের মতো নতুন সাইবার অপরাধ বেড়েছে। সাইবার বুলিং কিছুটা কমলেও বেড়েছে অনলাইন কেনাবেচায় অপরাধ। ২০২২ সালে ভুক্তভোগীদের ১৪.৬৪ শতাংশই অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে। অন্যদিকে ভুক্তভোগীদের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমের আইডি হ্যাকিংয়ের শিকার সর্বোচ্চ ২৫.১৮ শতাংশই নারী।ইন্টারনেটে আপত্তিকর ছবি প্রচার, ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণার ফাঁদ পাতার মতো সামাজিক অপরাধ থেকে শুরু করে মানবপাচার, মাদক বেচাকেনা, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মতো অনেক অপরাধই ঘটে থাকে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেও ঘটছে সাইবার অপরাধ।
দেশে বিভিন্ন সাইবার অপরাধ দমনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬; পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রয়েছে। কিন্তু এসব আইন বিষয়ে সচেতন নয় মানুষ। অনেকেই দেশের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক আইন সম্পর্কে জানে না।
তথ্য-প্রযুক্তি যত এগোবে, এর অপব্যবহার কিংবা প্রযুক্তিকেন্দ্রিক অপরাধ ততই বাড়বে। তাই তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনে আমাদের আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী সাইবার স্কোয়াড গড়ে তুলতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তির সুবিধা গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে যাচ্ছে। সারা দেশের থানা পর্যায়ে প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ দমনের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে।