English

31 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫
- Advertisement -

সন্তান জন্মদান হোক নিরাপদ: দক্ষ ধাত্রীর সংখ্যা বাড়াতে হবে

- Advertisements -
স্বাভাবিক সন্তান জন্মদানে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করতে পারেন একজন দক্ষ মিডওয়াইফ বা ধাত্রী। ‘আবার একসাথে: প্রমাণ থেকে বাস্তবে’—এবারের প্রতিপাদ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব ধাত্রী দিবস। ধাত্রী বা মিডওয়াইফদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ধাত্রীরা যুগ যুগ ধরে ঘরে ঘরে সন্তান প্রসবে সেবা দিয়ে আসছেন। ধাত্রীদের উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়ার জন্য ১৯৮০-এর দশক থেকে আন্তর্জাতিকভাবে আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৯২ সালের ৫ মে তারিখটিকে আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।বাংলার গ্রামীণ জনপদে মিডওয়াইফ বা ধাত্রী পেশা অতি প্রাচীন। অতীতে যখন চিকিৎসাব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি, তখন কোনো প্রসূতির সন্তান প্রসবে ধাত্রীই ছিল একমাত্র ভরসা। একসময় ধাত্রীরা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছাড়াই বেশ দক্ষতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশে ধাত্রীবিদ্যা বা মিডওয়াইফারি কোর্স চালু হয় ২০১০ সালে।
Advertisements

২০১২ সালে পুরোপুরিভাবে ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধে দক্ষ মিডওয়াইফের ভূমিকা অনেক। মাতৃমৃৃৃৃৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধে তাঁদের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো। তাই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মিডওয়াইফদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এক সমীক্ষার ফল বলছে, এখনো এক-চতুর্থাংশ শিশুর জন্ম হয় অদক্ষ ধাত্রীর হাতে। এসব ধাত্রীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকায় প্রসবকালে রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনিতে প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে।

নিরাপদ মাতৃত্ব একজন মায়ের অধিকার। এ অধিকার রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ জাতীয় মাতৃস্বাস্থ্য কৌশলের লক্ষ্যমাত্রা হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৭.১ থেকে ৮৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং দক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসবের হার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা।

নব্বইয়ের দশকের তুলনায় মাতৃমৃত্যু ৭০ শতাংশ কমলেও এখনো প্রতিবছর চার হাজার ৭২০ জন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ৭০ জনে নামিয়ে আনা সরকারের লক্ষ্য।

শিশু ও মাতৃমত্যু হার হ্রাস করতে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মিডওয়াইফ বা ধাত্রী তৈরি করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টির পাশাপাশি উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অধিকসংখ্যক মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/8ftf
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন