পাশাপাশি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে ইসি ৩০০ আসনের রিটার্নিং অফিসারদের গত রবিবার বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে। এর মধ্যে আছে, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে তাদের গ্রেপ্তার করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা তত বাড়তে পারে। বিএনপি বলছে, ‘প্রহসনের নির্বাচন’ হতে দেওয়া হবে না। ২০১৪ সালেও তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল। আর সে কারণে ব্যাপক সহিংসতাও হয়েছিল। কয়েক শ মানুষ হতাহত হয়েছিল। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরেও হামলা হয়েছিল। এবারও তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তা হবে খুবই দুঃখজনক।
আমাদের নির্বাচনের সঙ্গে সহিংসতার একটি দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও শতাধিক মানুষ নিহত এবং কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছিল। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রেরও অনেক ব্যবহার হয়েছিল। এবার যেন তেমনটি না ঘটে সে জন্য আগেভাগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
আর এমন একটি পরিস্থিতিরই অপেক্ষায় থাকে জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তেমন কিছু আলামত দেখতে পেয়েছে। বেশ কয়েকজন জঙ্গি-সন্ত্রাসীকে আটকও করা হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতেও ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে।
আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশগুলো অত্যন্ত সময়োপযোগী। আগে থেকেই সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সারা দেশে একযোগে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোরদার উদ্যোগ নিতে হবে।
শুরু থেকেই সন্ত্রাসের যেকোনো ঘটনা কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে। সারা দেশে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক অনেক বেশি সক্রিয় রাখতে হবে। আমরা চাই, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক। দেশে ও বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হোক।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/edww