বাজারে সবজির সরবরাহ কম। সবজিভেদে কেজিপ্রতি দাম ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ দিশাহারা। শুধু মুরগি, মাছ বা সবজির দাম নয়, দাম বেড়ে গেছে প্রায় প্রতিটি পণ্যের। চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা।
ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাড়া-মহল্লায় কোথাও কোথাও ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আলু-পেঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য অনেক পণ্যের দামই। এরই মধ্যে অনেককে আক্ষেপ করে বলতে শোনা গেছে, ‘রীতিমতো না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।’ এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
বাজারের এমন সমস্যা দীর্ঘদিনের। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঘুরেফিরে দুই অঙ্কের ঘরেই থাকছে। তার ওপর যোগ হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দেশজুড়ে সীমাহীন নাশকতা। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে ভীত হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যে পণ্য আনা হয়, তা বাজারের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়। তাই যেকোনো মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে টিসিবি এবং অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নিতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/n3t5