English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ভাবুন

- Advertisements -

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলে মনে হয়। গুরুতর অপরাধের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। সারা দেশেই অপ্রীতিকর ঘটনা বাড়ছে। সমাজের কিছু মানুষ যেন দিন দিন অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। এমনটি চলতে থাকলে শিগগিরই যে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মামুলি বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি, এমনকি ঝগড়া-বিবাদ থামাতে গিয়েও একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড। আহত হচ্ছে অনেকে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে অপরাধ। রাজধানী ঢাকায় গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে তুচ্ছ ঘটনায় অন্তত ৩৬টি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পারিবারিক কলহের কারণে ১৭ প্রাণহানির মধ্যে আটটিই ছিল আত্মহত্যা।

ধারণা করা যেতে পারে, এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সামান্য কারণেই যখন খুনের ঘটনা ঘটছে তখন বলতে হবে, মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অপরাধপ্রবণতা প্রতিরোধের দায়িত্ব মূলত পুলিশ বাহিনীর। পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবশ্য গণমাধ্যমকে বলেছেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় তুলনামূলকভাবে দেশে অপরাধপ্রবণতা অনেকটা কম। তবে ফৌজদারি অপরাধ কমলেও বেড়েছে পারিবারিক নির্যাতন।

এর কারণ কী? অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে পারিবারিক বন্ধনে ছন্দঃপতন ও প্রযুক্তির অপব্যবহারকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন ঢিলে হয়ে গেছে অনেক আগেই। সমাজের ভেতর পরিবার, প্রতিবেশী, এলাকাভিত্তিক সংস্কৃতির চর্চা ও বন্ধনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অনুশাসন বলতে কিছু নেই।

আগে সামাজিকভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা ইদানীং দেখা যায় না। আগের সামাজিক অনুশাসনগুলো আর কাজ করছে না। উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হত্যা বা আত্মহত্যা যেটিই হোক, প্রতিটি ঘটনার পেছনে প্ররোচনাকারী আছে। তাদের যথাযথভাবে শনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত এগুলো কমবে না।

সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরো তীব্র হবে।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দেবে। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, তুচ্ছ কারণে এসব অপরাধ থেকে উত্তরণ দ্রুত সময়ে ঘটবে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অন্যায়কারীর শাস্তি হলে তা দেখে অন্যরা অন্যায় কাজে নিরুৎসাহ হবে। আর সে কারণেই আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। অপরাধীদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন