English

27.4 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

অব্যাহত রাখতে হবে এই ধারা: প্রবাস আয়ের রেকর্ড

- Advertisements -
দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের স্বাভাবিকতা রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে রেমিট্যান্স। উভয় ক্ষেত্রে একটি বড় সুখবর হচ্ছে চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়ের ক্রমাগত বৃদ্ধি। রেমিট্যান্স যোদ্ধারা বৈধপথে ক্রমেই বেশি করে অর্থ পাঠাচ্ছেন।
ফলে প্রতি মাসেই বাড়ছে প্রবাস আয়ের পরিমাণ। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এ পর্যন্ত প্রাপ্ত রেমিট্যান্স। ৭ মে পর্যন্ত দেশে ২৫.২৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

তারা বলেছে, এর আগে দেশে সর্বোচ্চ প্রবাস আয় এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার। প্রায় দুই মাস বাকি থাকতেই চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের প্রবাহ তা ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই ২০২৩ থেকে ৭ মে ২০২৪ পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯.৭২ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছরের এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫.২৭ বিলিয়ন ডলার।

এ মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছে ৭৩৫ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২.৩ শতাংশ বেশি। সে সময়ে এসেছিল ৬০১ মিলিয়ন ডলার। মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত মার্চে, ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
তখন পবিত্র রমজান মাস চলছিল এবং সামনে ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের পর এপ্রিলে দেশে প্রবাস আয় এসেছে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
মাসের হিসাবে যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কাতার। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। আশা করা যায় চলতি মাসেও রেমিট্যান্সের প্রবাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্রমে বেশি করে রেমিট্যান্স আসছে। সরকার রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। খোলাবাজারের মতোই এখন ব্যাংকেও রেমিট্যান্স হিসেবে প্রেরিত ডলারের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। আড়াই শতাংশ প্রণোদনাও পাচ্ছেন প্রবাসীরা। এসব কারণে প্রবাসীরাও বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি ব্যবসা ও অর্থপাচার।

আমরা মনে করি, বৈধপথে রেমিট্যান্স আসাকে আরো নানাভাবে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি হুন্ডি ব্যবসার দৌরাত্ম্য কমাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে আরো বেশি জোর দিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন