English

26 C
Dhaka
শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

আচরণ সহনশীল হোক: চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

- Advertisements -
Advertisements

গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা। তাঁদের কর্মবিরতির কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। অনেককে ফিরে যেতে হয়।

Advertisements

এক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বরত চিকিৎসককে মারধর করে রোগীর স্বজনরা।

আহত চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউয়ের কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
আগের রাতে এক বছর বয়সী শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
রাতে পিআইসিইউতে রাখার পর সকালে তাকে এনআইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
এর আগে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালেও রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়। পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
চট্টগ্রামে দুই বেসরকারি হাসপাতালে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় ডাকা চিকিৎসকদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়ে নগর ও জেলার সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে। সরকারিতেই প্রভাব বেশি পড়ে।
কারণ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়ে সরকারি হাসপাতালে অনেকে আউটডোরে রোগী দেখাতে যায়। একই সঙ্গে ওয়ার্ডে চিকিৎসকরা রাউন্ড দেন। কর্মবিরতির ওই সময়ে রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

চিকিৎসক নেতারা বলছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এসব হামলা চলছে।

চিকিৎসকরা যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাহলে ভালো চিকিৎসাসেবা আশা করা যায় না। এর ফলে রোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ভেঙে পড়বে চিকিৎসাব্যবস্থা।

চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। কারণ রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হলে যেকোনো রোগের চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়।

কিন্তু আমরা দেখি, রোগীর মৃত্যুর পর অনেক সময় আবেগবশত, কখনো বা বোঝার ভুল থেকে অনেক স্বজন তাণ্ডব চালায়।

আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থা এমনিতেই নাজুক। পর্যাপ্ত হাসপাতাল নেই। প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স নেই। এ অবস্থায় আমাদের সবাইকে পরস্পরের প্রতি সহনশীল আচরণ করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন