English

26.4 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ৬, ২০২৫
- Advertisement -

আবার হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা: ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করুন

- Advertisements -

বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। গত এক দশকে মাথাপিছু আয় কয়েক গুণ বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রমও অনেক বেড়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। শুধু তা-ই নয়, ব্যাংকিং সেবার ধরনও দ্রুত বদলে যাচ্ছে। অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকে না গিয়েও টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে।
এটিএম বুথের মাধ্যমে টাকা তোলা, কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা করা, এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা এখন অতি সহজ ও স্বাভাবিক ঘটনা। বৈধ কার্যক্রমের এমন বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অবৈধ কার্যক্রম বা জালিয়াতির ঘটনাও। প্রায়ই ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। আন্তর্জাতিক জালিয়াতচক্রের বেশ কিছু সদস্য ধরাও পড়েছে। হ্যাকাররাও তৎপর হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা হ্যাকাররা নিয়ে যায়। এমনই অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন লেনদেনব্যবস্থা ও এটিএম বুথে নজরদারি বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। কোনো কোনো ব্যাংক রাতে এটিএম বুথ বন্ধ রাখা শুরু করেছে।
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতার কথা বহুল আলোচিত। ফিচ রেটিংসসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টেও অনেকবার তা উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও বারবার ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা বাড়াতে তাগাদা দেওয়া হয়েছে; কিন্তু নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে খুব কমই। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল।
হ্যাকার গ্রুপটি আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্কে হ্যাকিং করতে পারে। এতে আরো বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের আর্থিক সেক্টরে সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়ানো এবং এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো তা অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। দুঃখজনক হলেও সত্যি, সরকারি বা বেসরকারি উভয় খাতের ব্যাংক ব্যবস্থায়ই নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকদের হিসাব থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সাইবার প্রযুক্তি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের গ্রাহকদেরও প্রযুক্তিগত সুবিধার প্রত্যাশা বাড়বে। ব্যাংকগুলোতেও সাইবার সেবা প্রদানের প্রতিযোগিতা চলতে থাকবে; কিন্তু একই সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। আমরা আশা করি, আমাদের ব্যাংকগুলো তেমন নিরাপত্তাব্যবস্থা অবশ্যই অবলম্বন করবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/2poh
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন