English

29.2 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫
- Advertisement -

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: কার্যকর উপায় খুঁজে বের করুন

- Advertisements -

করোনা মহামারির কারণে দেশের অন্যান্য খাতের মতোই শিক্ষা খাতও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। করোনার বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর বেশির ভাগেরই পড়াশোনা অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।
প্রাথমিক থেকে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া পুরোপুরি শ্রেণিকক্ষনির্ভর। শ্রেণিকক্ষের পড়াশোনা যখন বিঘ্নিত হয়, তখন তার প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপর পড়ে। টেলিভিশন ও অনলাইনে লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এর সাফল্য নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। কারণ সরাসরি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আদান-প্রদান হয়, তা অনলাইন বা টেলিভিশনে সম্ভব নয়।
যার ফলে গত আট মাসে অনেক শিক্ষার্থী বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অনেক অভিভাবক নিজেদের চেষ্টায় শিক্ষার্থীদের সংকট কাটিয়ে উঠতে সচেষ্ট হলেও দেশের বেশির ভাগ অভিভাবকের দ্বারা তা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। মহামারির মধ্যে এবার পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেবে না সরকার।
আর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কী হবে?
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কোনো প্রতিষ্ঠানই টেস্ট পরীক্ষা নিতে পারেনি। মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে গত ১৪ নভেম্বরের পর সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চিন্তা এর আগে করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের এবং আগামী ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।
নভেম্বর মাসে এসএসসির টেস্ট পরীক্ষা এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এইচএসসির টেস্ট পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের সিলেবাসও শেষ হয়নি। এটাও দুশ্চিন্তার বড় কারণ।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তামুক্ত করতে একটি কার্যকর সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/67i2
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন