English

36 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

কাজ হারানো মানুষের পাশে দাঁড়ান: প্রলম্বিত বিধিনিষেধ

- Advertisements -

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৬ মে পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠক শেষে বলেন, বর্তমানে বিধিনিষেধ যেভাবে আছে, সেগুলো বলবৎ থাকবে। জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলবে ৬ মে থেকে। কিন্তু এক জেলা থেকে আরেক জেলায় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। ট্রেন ও যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকবে। যেসব মার্কেটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে না, প্রয়োজনে সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় দফার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপের পরামর্শ। কিন্তু জাতীয় অর্থনীতি ও জীবন–জীবিকার বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সরকার ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করে গত ৫ এপ্রিল থেকে। কিন্তু এর কঠোরতা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকেনি; কখনো কঠোর, কখনো শিথিলভাবে চলেছে। একপর্যায়ে গণপরিবহন ও দোকানপাট খুলেও দেওয়া হয়। এ সময় করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। সপ্তাহখানেক পর গণপরিবহন ও দোকানপাট ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে সংক্রমণের হার কমতে দেখা যায়। ফলে এটা অনেকটাই প্রমাণিত হয় যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর বিধিনিষেধের বিকল্প নেই। কিন্তু আসন্ন ঈদুল ফিতরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়; অবশ্য গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।

গত রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের সভাপতিত্বে সরকারের নীতিনির্ধারকদের এক বৈঠক হয়, যাতে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রায় সবাই বিধিনিষেধ ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা জনসমাবেশস্থল, বিশেষ করে মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, ঈদের সময় কোনোভাবে মানুষ কর্মস্থল থেকে বাইরে গেলে সংক্রমণ বাড়বে। এ কারণে ঈদের সময় শ্রমিকদের ছুটি না দেওয়ার জন্য কারখানার মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ছুটি পেলে শ্রমিকেরা বাড়ি যেতে চাইবেন। এতে শহর থেকে গ্রামে এবং এক শহর থেকে আরেক শহরে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে।

এ অবস্থায় আমরা মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক বলে মনে করি। তবে সিদ্ধান্ত নিলেই হবে না, তা যাতে যথাযথভাবে প্রতিপালিত হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ১৬ মে পর্যন্ত এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াত বন্ধ রাখা গেলে সংক্রমণও নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, আশা করা যায়। শহরের ভেতরে গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কি না, তা–ও দেখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা দায়বদ্ধ থাকবেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন