এরই আভাস পাওয়া যায় জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিবেদনে।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনায় গত বছর বাংলাদেশে তিন কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘চরম তাপমাত্রা ও অন্যান্য জলবায়ুজনিত সংকট শুধু শিশুদের স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমই ব্যাহত করে না, বরং এর কারণে শিশুদের মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন, মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমেই ঝুঁকিতে পড়ছে।
গত বছরের বন্যায় বৃহত্তর সিলেট ও কুমিল্লায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ক্রমেই তীব্র হতে থাকবে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলা তলিয়ে যেতে পারে। নোনা পানির অনুপ্রবেশ এরই মধ্যে দেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, যা অঞ্চলের কৃষি ও প্রকৃতিতে ব্যাপক প্রভাব রাখছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের আরো বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/2zc1