English

35 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

খাওয়ার পানি সরবরাহ করুন: বিভিন্ন স্থানে পানির জন্য হাহাকার

- Advertisements -
দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা। তৃষ্ণায় প্রায় ছাতিফাটা অবস্থা চলছে। মানুষের পানি গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এ সময়ে ঘন ঘন পানি পানের পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়াই যাচ্ছে না অনেক অঞ্চলে। প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, বাগেরহাটের শরণখোলায় খাওয়ার পানির জন্য রীতিমতো হাহাকার শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ পুকুর শুকিয়ে গেছে। খাল, ডোবা-নালায়ও পানি নেই।
কিছু পুকুরে পানি পাওয়া গেলেও তা সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেককে পুকুরের পানি কিনেও আনতে হচ্ছে। একই অবস্থা দেখা গেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায়। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ৪০০ ফুট গভীরে স্থাপিত হস্তচালিত নলকূপেও পানি উঠছে না।
দামুড়হুদায় ইলেকট্রিক মোটর লাগানো নলকূপেও পানি উঠছে না। এসব এলাকার দরিদ্র মানুষ অনিরাপদ উৎক্ষে থেকে পানি সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছে এবং সেই পানি পান করে পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু এই কয়টি স্থানই নয়, পশ্চিমাঞ্চলের আরো অনেক স্থানেরই অবস্থা প্রায় একই রকম।
বেঁচে থাকার জন্য বিশুদ্ধ বা পানের উপযোগী পানি অপরিহার্য। বছরের পর বছর এই সমস্যা চলে আসছে।

শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ অনেক কমে যায়। শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, শরণখোলায় সারা বছরই সুপেয় পানির সংকটে থাকে ২০ শতাংশ মানুষ। আর শুষ্ক মৌসুমে খাওয়ার এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহারের পানির সংকটে থাকে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ। পানির এই সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হলে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নতুন করে আরো অন্তত ১০০ বড় পুকুর খনন করা প্রয়োজন। রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় রূপ নিচ্ছে। রাজবাড়ী ও চুয়াডাঙ্গার মতো আরো অনেক স্থানেই মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ার অন্যতম দুটি কারণ হচ্ছে বোরো আবাদ, নগরীতে পানি সরবরাহসহ অন্যান্য কারণে অত্যধিক পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এবং নদ-নদী, জলাশয় ভরাট ও শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ভূগর্ভে পানির অনুপ্রবেশ কমে যাওয়া। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন কমাতে হবে। শহরাঞ্চলে নদ-নদী বা জলাশয়ের পানি শোধনের মাধ্যমে সরবরাহ বাড়াতে হবে। পুকুর-জলাশয় খননের মাধ্যমে ভূগর্ভে পানির অনুপ্রবেশ বাড়াতে হবে। এর আগে দুর্গত অঞ্চলগুলোর মানুষের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন