English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

গণতন্ত্রের সূচকে বড় অগ্রগতি: ক্রমোন্নতির এই ধারা অব্যাহত থাক

- Advertisements -

করোনা মহামারির সময় সারা দুনিয়ায় শুধু অথনীতি নয়, সমাজ-রাজনীতির বিভিন্ন সূচকও নিম্নমুখী হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ডেমোক্রেসি ইনডেক্স-২০২০ অনুযায়ী বিশ্বের গড় স্কোর আগের বছরের ৫.৪৪ থেকে কমে হয়েছে ৫.৩৭। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলেছে, ২০০৬ সালে প্রথম এই সূচক প্রকাশের পর থেকে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বাজে স্কোর। এই বাজে বছরেও বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের স্কোরে উন্নতি হয়েছে।

চার ধাপ এগিয়ে ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের মধ্যে ৭৬তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ৫.৯৯, যা আগের বছর ছিল ৫.৮৮ এবং অবস্থান ছিল ৮০তম। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ৫.৫৭ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বে গণতন্ত্রের এমন অবনমনের পেছনে মহামারির মধ্যে দেশে দেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি বড় ভূমিকা রেখেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতির পাশাপাশি অন্যান্য দিক থেকেও বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটছে। মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় ৮১তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)-এর ২০১৯ সালের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম। তাদের মতে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বে ২৮তম বড় অর্থনীতির দেশ। বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে ৪৮তম রয়েছে, যেখানে ভারতের অবস্থান ১০৮তম, আর পাকিস্তানের অবস্থান তালিকার সর্বনিম্নে।

গণতন্ত্রের সূচকেও ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ভারত ৫৩ এবং শ্রীলঙ্কা ৬৮। এবারের তালিকায় ভারতের দুই ধাপ অবনতি হয়েছে। আর বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে ভুটান ৮৪, নেপাল ৯২ এবং পাকিস্তান ১০৫। নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারের সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক অধিকার—এই পাঁচ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়।

সর্বোচ্চ স্কোর ১০-এর ভিত্তিতে কোনো দেশের স্কোর ৮-এর বেশি হলে সেই দেশে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’, ৬ থেকে ৮-এর মধ্যে ‘ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র’, ৪ থেকে ৬-এর মধ্যে ‘মিশ্র শাসন’ এবং ৪-এর নিচে হলে সে দেশে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে বলে ধরা হয়। এই সূচকে মাত্র ২৩টি দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫২টি দেশে ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র রয়েছে। মিশ্র গণতন্ত্রের তালিকায় যে ৩৫টি দেশ রয়েছে, তার শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। আর এক ধাপ এগোলেই বাংলাদেশ ত্রুটিযুক্ত গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় চলে যাবে। বাকি দেশগুলোতে চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন।

অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলার পাশাপাশি সুশাসন ও গণতান্ত্রিক চর্চায়ও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তা আমাদের আশাবাদী করে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হওয়ার যে স্বপ্ন দেখে তার বাস্তব রূপ দিতে হলে এসব ক্ষেত্রে আমাদের আরো উন্নতি করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন