English

38 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

ছোট অস্ত্র ভয়ংকর: নেপথ্যের হোতাদেরও খুঁজে বের করতে হবে

- Advertisements -
সম্প্রতি রাজধানীর ভাষানটেকে এক ঠিকাদারকে গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার ও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর অস্ত্রের উৎস অনুসন্ধানে নেমে চক্রটির সন্ধান পায় ডিবির গুলশান বিভাগ। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অস্ত্র ও মাদকের বড় চালানগুলো ঢোকে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্ত দিয়ে। এ ছাড়া যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা, দর্শনা, শাহজাদপুর, হিজলা, আন্দুলিয়া, মান্দারতলা, বেনাপোলের সীমান্তের গোগা, কায়বা, শিকারপুর, দৌলতপুর, দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র দেশে ঢুকছে।

গত বছর বিজিবি সদস্যরা চোরাই পথে আসা ৭৭টি পিস্তল, আটটি ওয়ান শুটারগান, একটি একে-৪৭ রাইফেল, তিনটি রিভলবার, ১১টি এয়ারগান, তিনটি পাইপগান, আটটি ওয়ান শুটার পিস্তল, একটি দোনলা বন্দুক, ৭৬টি ম্যাগাজিন ও ৩৭২টি গুলি উদ্ধার করেছে। তবে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পরিমাণ যে অনেক বেশি, তার প্রমাণ আকুল চক্রের কাছে পাওয়া এবং তাঁদের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া অস্ত্র।

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। বিজিবি বা কোস্টগার্ড সদস্যরা সীমান্ত পথে কিছু অস্ত্র আটক করার তালিকা পেশ করে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারেন। তাতে এ অবৈধ অস্ত্রের চালান আসা বন্ধ হবে না। তাই অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান বন্ধ করতে হলে আকুলদের নেপথ্যের হোতাদেরও ধরতে হবে। বিস্ময়কর হলো অস্ত্রসহ আকুল ধরা পড়ার পরও সেখানকার ছাত্রলীগ তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তাহলে কি তাঁরা এ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার হোতাকে রাজনৈতিকভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন? সরকারি দলের নেতারা কথায় কথায় ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাত খুঁজে বেড়ান। এবার নিজেদের দিকে চোখ ফেরান।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন