জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় সেতু দুটি নির্মিত হয়। কালভার্ট নির্মাণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। ৪০ ফুট দৈর্ঘের সেতু দুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৮ টাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিকল্প পথ নির্মাণ না করেই ব্রিজ ও কালভার্ট ভেঙে ফেলায় বাঁশের ওপর দিয়ে তাদের অনেক কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, দুটি ব্রিজ ও কালভার্টের রড ও সংযোগ রাস্তার ইট মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকার মালপত্র চুরি হয়েছে। স্থানীয়রা এ কাজের জন্য প্রকাশ্যে একজন ঠিকাদারকে অভিযুক্ত করলেও জিডিতে তাঁর নাম না থাকায় এবং এ কাজের সঙ্গে যুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার না করায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
শুধু খাগড়াছড়ি নয়, দেশের অনেক স্থানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রেললাইনের পাত চুরি হয়ে যায়। বিদ্যুতের তার, ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। রোড ডিভাইডারের ওপরে থাকা লোহার পাতও চুরি হয়ে যায়। সরকারি সম্পত্তির এমন নাজুক অবস্থা অনেক দিন ধরেই চলমান রয়েছে।
তার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রভাবশালীদের অত্যাচার। কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত বাঁধ বা সড়কের মাটি চলে যায় ইটভাটায়। রাস্তার ইট খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর পরিত্যক্ত রাস্তা বা সেতুর কী অবস্থা হয় তা তো আমরা খাগড়াছড়ির এ ঘটনা থেকেই বুঝতে পারি।
আমরা চাই খাগড়াছড়ির ব্রিজ ও কালভার্টের রড চুরির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হোক এবং কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।