গত বুধবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ দফায় দেশের বিভিন্ন উপজেলার ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও ঘর তুলে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে তাঁর সরকার।
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে বুধবার আরো ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের বাড়ি প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে দেশের ২১১টি উপজেলা পুরোপুরি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মুখ্য সচিব প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় চতুর্থ পর্যায়ের বাড়ি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড় ও মাগুরা—এই ৯ জেলার সব উপজেলা এবং সারা দেশের ১৫৯ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।
চতুর্থ পর্যায়েও বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এবার চরাঞ্চলের জন্য বিশেষ ডিজাইনের ঘর আছে এক হাজার ৩৭৩টি এবং পার্বত্য এলাকার জন্য মাচাং ঘর আছে ৬৩৪টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোট সাত লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পরিবারপ্রতি পাঁচজন হিসাবে এই কার্যক্রমে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।
আশ্রয়ণ প্রকল্প একটি কল্যাণমুখী প্রকল্প। যেসব এলাকায় সরকারি খাস জমি পাওয়া যায়নি সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য জমি কিনে বাড়ি করে দেওয়ার ব্যতিক্রমী নজির গড়েছে সরকার। ২০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সারা দেশে ৩০৬.৩৭ একর জমি কিনে সেই জমিতে ১৩ হাজার ১৬৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারের কল্যাণকামী ভাবমূর্তি একটি বিশেষ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সব মহল থেকেই এই প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে। দেশের সব মানুষের স্থায়ী ঠিকানা হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।