বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যুিনর্ভর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো। আমন ধান লাগানোর এই সময়ে জমিতে সেচ দেওয়া জরুরি হলেও বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমতো সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন মাস ধরে সামিট গ্রুপের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ফলে দেশে বিদ্যুতের বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিপিডিবির তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। আর দৈনিক গড়ে ১৩-১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ায় দৈনিক লোডশেডিং করতে হচ্ছে দু-তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে দেশে লোডশেডিং হয়েছে এক হাজার ৮৭৩ মেগাওয়াট।
এ সময় ১৪ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১২ হাজার ৬৮৯ মেগাওয়াট। শুধু বিদ্যুৎ নয়, গ্যাসসংকটও তীব্র হয়ে উঠছে। অনেক এলাকায় দিনে রান্না করা যায় না।
সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ থাকে না। গাড়িগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের সহানুভূতি রয়েছে। তাই দুর্ভোগ সহ্য করেও মানুষ অপেক্ষায় আছে, রাস্তায় নেমে আসছে না। কিন্তু অনেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে তারা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হবে। তেমন পরিস্থিতি কারো জন্যই সুখকর হবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহ বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/ve35