প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আলোচিত ব্যবসায়ী ও সাবেক বায়রা মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে মেডিক্যাল বাণিজ্যের আড়ালে সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কর্মী পাঠানোর নামে প্রায় আট লাখ কর্মীর কাছ থেকে মেডিক্যাল ফি বাবদ ৮০০ কোটির বেশি টাকা লোপাট করে স্বপন ও তাঁর সিন্ডিকেট।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই অর্থ হাতিয়ে নিতে ‘মীম মেডিক্যাল’ ও ‘ক্যাথারসিস মেডিক্যাল’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা হয়েছে।
এই সিন্ডিকেটের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির অন্যতম ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গেই মীম মেডিক্যাল ও ক্যাথারসিস মেডিক্যালের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো রুহুল আমিন স্বপনের ক্যাথারসিস গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। জনশক্তি রপ্তানি থেকে অর্জিত ব্যাবসায়িক আয়ের তথ্য গোপন করে রেমিট্যান্স হিসেবে তা দেখিয়ে কর ফাঁকির অভিযোগও উঠেছে রুহুল আমিন স্বপনের বিরুদ্ধে।বিশ্লেষকরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর নামে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দুর্বলতাকে ব্যবহার করে লাভবান হয়েছে।এখন সমন্বিত তদন্ত, দ্রুত বিচার এবং এই চক্রে জড়িতদের কঠোর আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভেঙে নতুন করে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার দাবিতে সোমবার মানববন্ধন করেছেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। তাঁরা জানান, সাবেক সরকারের সময় তৎকালীন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের প্রশ্রয়ে পলাতক রুহুল আমিন স্বপনের নেতৃত্বে ওই সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। বর্তমানে বিদেশে বসেই তাঁরা ওই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।প্রশ্ন হলো যাঁরা জমিজমা বিক্রি করে কিংবা ধারকর্জ করে এজেন্সির চাহিদামাফিক টাকা দিয়েও বিদেশে যেতে পারেননি, তাঁদের কী হবে? এ ক্ষেত্রে সরকারকে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে তারা টাকা ফেরত দেয়।মালয়েশীয় চক্রের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যবস্থা নিতে পারবে না ঠিক, কিন্তু এ প্রান্তে যেসব চক্র আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।