জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল ইসলামের দাবি, সার্ভারে কোনো সমস্যা নেই। নাগরিকেরা ঠিকমতো আবেদন না করতে পারা ও দক্ষ লোক না থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে। এভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে ব্যর্থতা ঢাকা যায় না। সেবাপ্রার্থী ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, সার্ভার কাজ করছে না। আর রেজিস্ট্রার মহোদয় বলে দিলেন সার্ভারে কোনো সমস্যা নেই।
সরকার যেহেতু জন্মনিবন্ধনের কাজটি ডিজিটাল মাধ্যমে করছে, সেহেতু এর সমস্যাগুলোও তাদের দেখতে হবে। আগে সরাসরি জন্মনিবন্ধনের কাজ হতো। ২০১০ সাল থেকে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের কাজ অনলাইনে হচ্ছে। দিনে গড়ে ২০ হাজার জন্মনিবন্ধন হয়। মৃত্যুনিবন্ধন অনেক কম হয়। নতুন বছরে স্কুলে ভর্তির জন্য এখন থেকে নতুন জন্মনিবন্ধনের চাপ শুরু হবে। দিনে গড়ে ৩০ হাজারের বেশি আবেদন হতে পারে। তার মানে সমস্যার সমাধান করা না গেলে ভোগান্তি আরও বাড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, সার্ভারের ধারণক্ষমতা কম থাকলে তা বাড়াতে হবে, সার্ভারের কোডে কোনো বাগ বা ত্রুটি থাকলে দ্রুত সেটি খুঁজে বের করে ঠিক করতে হবে এবং সার্ভারটিকে ব্যবহারবান্ধব করতে হবে। বাস্তবতা হলো প্রতিটি কাউন্সিলর অফিসে সার্ভার দেওয়া হলেও তার ধারণক্ষমতা চাহিদার তুলনায় কম।
সার্ভারের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হবে কি না, জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল বলেন, ঠিকভাবে কাজ করার জন্য সার্ভারে যা যা করা প্রয়োজন, সবকিছুই করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে নিবন্ধন নেওয়া লাখ লাখ ব্যক্তির তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের জন্য ব্যক্তির নিজে আবেদন করার সুযোগ আগস্ট মাসজুড়ে বন্ধ থাকে। এই অদক্ষতা ও অব্যবস্থার দায় কাকে দেবে নিবন্ধন কার্যালয়?