যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং কর্মক্ষেত্রে যাওয়া-আসার খরচ বহন করার পরও জর্দানি কম্পানিগুলো প্রত্যেক কর্মীকে মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ হাজার টাকার বেশি বেতন দেবে। নতুন বছরের শুরুতে নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো সংবাদ।
নতুন সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ হলো বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয় স্থিতি রক্ষা করা।
দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর সুবিধাও অনেক। একজন দক্ষ শ্রমিক কয়েকজন অদক্ষ শ্রমিকের সমান রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় দেশে পাঠাতে পারেন। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পে অগ্রবর্তী একটি দেশ। আমাদের প্রচুর দক্ষ শ্রমিক রয়েছে। এই ক্ষেত্রটিতে বিদেশের বাজারে আমরা নিয়মিত খোঁজখবর রেখে আরো অনেক শ্রমিক পাঠাতে পারি।
এ ক্ষেত্রে প্রেরিত শ্রমিকদের দক্ষতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই শ্রমিক পাঠাতে হবে। জর্দানের বর্তমান চাহিদা তারা যাচাই করেই নেবে। কিন্তু যে চাহিদাগুলো আমাদের মাধ্যমে যায়, প্রায়ই সেসব ক্ষেত্রে নানা অনিয়মের কথা শোনা যায়। যেমন—অনেক ক্ষেত্রেই অর্থের বিনিময়ে অদক্ষ শ্রমিককে দক্ষ হিসেবে প্রেরণ করা হয়। এতে বিদেশি কম্পানিগুলো প্রতারিত হয় এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহী হয় না।
বিপুল বেকারত্ব ঘোচানোর লক্ষ্যে দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার আরো শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। এ জন্য বিদেশি শ্রমবাজারগুলোর চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে দক্ষ জনশক্তি তৈরির ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে আরো তৎপর হতে হবে। একই সঙ্গে জনশক্তি প্রেরণকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা ও পেশাদারি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/1lm3