English

30.3 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

দমনে কঠোর ব্যবস্থা নিন: বাড়ছে কিশোর অপরাধ

- Advertisements -
দিন দিন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত কিশোর সদস্যদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে দুই কিশোরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত স্থানীয় একটি কিশোর দলের সদস্যরা।আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য থেকে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীতে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত কিশোরদের অন্তত অর্ধশত গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপের প্রতিটির পৃথক নাম রয়েছে। রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানি, মারধর, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও মাদক কারবার, ছিনতাই, এমনকি হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধে জড়িত এই কিশোররা।
Advertisements

সামান্য বিষয়ের জের ধরে এক দল আরেক দলের সঙ্গে মারামারি থেকে শুরু করে খুনখারাবির মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে।

কিশোরদের এভাবে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠার কারণ কী? সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় যে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমাজে নানা অসংগতি রয়েছে। নিজেদের সংস্কৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কিশোররা। তাদের আচরণে পরিবর্তন হচ্ছে। আবার কিশোরদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের অপরাধপ্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

Advertisements

মাদক বিক্রেতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত অনেকেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের ব্যবহার করেন। আবার যখন তারা দেখে যে অপরাধ যারা করছে তারা সমাজে বেশি লাভবান হচ্ছে, সেটা কিশোররা অনুসরণ করে। তাদের ওপর পারিবারিক ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বিশেষজ্ঞরা একই সঙ্গে এটাও বলছেন যে আগের অনুশাসনগুলো সমাজে কাজ করছে না।

সমাজের ভেতর পরিবার, প্রতিবেশী, এলাকাভিত্তিক সংস্কৃতিচর্চা, বন্ডিং—এগুলো নষ্ট হয়ে ছন্দঃপতন ঘটছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলাধুলা একেবারেই নেই। এসব কারণে কিশোর-তরুণরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

কিশোর অপরাধী তৈরি হলো কেন? কেনই বা তারা এত ভয়ংকর হয়ে উঠেছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারকাখ্যাতি, হিরোইজম, ক্ষমতা, বয়সের অপরিপক্বতা, অর্থলোভ, শিক্ষাব্যবস্থার ঝুঁকি এবং পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হওয়ায় তাদের সামাজিকীকরণ ও মানসিক বিকাশ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।তাদের আচরণে পরিবর্তন হচ্ছে। আবার কিশোরদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের ‘গ্যাং কালচার’ গড়ে উঠছে। কিশোররা ইতিবাচক চর্চার দিকে না গিয়ে নেতিবাচক চর্চার দিকে চলে যায়।

উঠতি বয়সের তরুণ হঠাৎ ক্ষমতা, টাকা-পয়সা, মাদক, অস্ত্র, অসৎ সঙ্গের সংস্পর্শে এসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ে; যেমন—চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি। বাড়িতে বসে ইন্টারনেটে আসক্ত হয়েও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? মুক্তির উপায় কী? সমাজ বাস্তবতার দিকে তাকালে দেখা যাবে, এখন এলাকাভিত্তিক সামাজিক কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে না, খেলার মাঠ কমে এসেছে। সামাজিকভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় কিশোররা সাইবারজগতে ঢুকছে।

অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে সঠিক পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ কিশোর অপরাধ কমাতে অনেক সাহায্য করবে।

সর্বোপরি কিশোর অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। তাদের কাছে নিশ্চয় তালিকা আছে। এই তালিকা ধরে কাজ করতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক অনুশাসনের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতা কিশোর অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/oi7a
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন