English

34 C
Dhaka
শনিবার, মে ৪, ২০২৪
- Advertisement -

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য: ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা

- Advertisements -
ধর্ষণের পর জ্ঞানহীন মেয়েটিকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল এক নিষ্ঠুর ধর্ষক। দীর্ঘ ৪০ দিন হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করেছে মেয়েটি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। তিন দফা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
গভীরভাবে পুড়ে যাওয়া ক্ষতস্থানে চামড়া প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জঘন্য সমাজকে ধিক্কার জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে ১৭ বছরের এই মাদরাসাছাত্রী। রাজমিস্ত্রি বাবা চোখের পানি ফেলতে ফেলতে মেয়ের মরদেহ নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের গ্রামে। তাঁর দুই চোখের লক্ষ্যহীন দৃষ্টি বলে দিচ্ছে এই সমাজে তাঁরা কতটা অসহায়।
ধর্ষণের পর হত্যার এমন ঘটনা দু-একটি নয়, অসংখ্য। প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে আসছে এমন অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর। ক্রমে সবই যেন গা-সওয়া হয়ে উঠেছে। গত মাসে চট্টগ্রামের চাঁদগাঁওয়ে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
মেয়েটির বাবা রিকশাচালক। মা গার্মেন্টসে কাজ করেন। বাড়িতে একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ২৪ বছরের এক যুবক। একই ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জের মাদরাসাছাত্রীর বেলায়ও। জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে স্থানীয় বখাটে তরুণ সাইফুল ইসলাম এই মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
মেয়েটি জ্ঞান হারালে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা কি ভুলে গেছি ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির কথা! তাঁরই মাদরাসার অধ্যক্ষের লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তাঁকে। গত মার্চে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আরেক মাদরাসাছাত্রীকে একইভাবে জীবন দিতে হয়েছে। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। সমাজ ও রাষ্ট্র কন্যাশিশুদের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বগুড়ার মাদরাসাছাত্রী হত্যার ঘটনা এবং তার মৃত্যুর খবর বিবেকবান প্রত্যেক মানুষের অন্তরকে কাঁদাবে। কিন্তু তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের অনুভূতিকে নাড়া দেবে কি? দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে যারা অঙ্গীকারবদ্ধ, তাদের কর্তব্যবোধ জাগ্রত হবে কি?
আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের অপরাধ নির্মূলের জন্য দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়াটা জরুরি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রউফ জানান, প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে এই জঘন্য ঘটনার বিচার সম্পন্ন করে অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন