শুধু তা-ই নয়, এর ফলস্বরূপ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, বরং শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অহরহ ঘটছে।
শিল্প খাতে গ্যাসের সংকট কাটাতে গত ৭ মে সরকার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তি গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দেয়।ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত শিল্প–কারখানায় প্রায় ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাভার ও আশুলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের ভয়াবহ সংকট উৎপাদনের স্বাভাবিক গতি স্তব্ধ করে দিয়েছে।
প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম আবার যেটুকু গ্যাস মিলছে, তার চাপও এতই কম যে অনেক কারখানায় উৎপাদন কার্যত থেমে গেছে। এতে অনেক কারখানা ডিজেলনির্ভর হতে বাধ্য হচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় দ্বিগুণ করে লোকসানের পাল্লা ভারী করছে।
দেশের কর্মসংস্থানের প্রায় ৯৫ শতাংশ জোগান দেওয়া বেসরকারি খাত বর্তমানে গভীর সংকটে। ব্যবসায়ীরা নতুন উদ্যোগে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক ঘোষণা এলেও সেসব ঘোষণা বা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে গতি নেই। শিল্পোদ্যোক্তাদের আশঙ্কা, দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না বাড়ালে উৎপাদনে ধস নামবে।
রপ্তানি আয় আরো কমবে। এতে ডলার সংকট আরো তীব্র হবে, যার প্রভাব পড়বে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। তাই শিল্প খাতকে বাঁচাতে দ্রুত ও পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।