English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন: বাড়ছে ডাকাতি-ছিনতাই

- Advertisements -

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ রীতিমতো দিশাহারা। স্থির আয়ের মানুষের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে।

অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার এমন তথ্য উঠে এসেছে খোদ পুলিশেরই প্রতিবেদনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে ১০ দফা নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে সড়ক-মহাসড়ক থেকে শুরু করে দোকানপাট, বাসাবাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। অপহরণ ও জিম্মি করে অর্থ লুটের ঘটনা বাড়ছে। সাধারণ ডাকাতি-ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বাড়ছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা। গতকালের কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে সেনা সদস্য পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
পরে ২০ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে কেরানীগঞ্জে রাস্তার পাশে ফেলে দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন আগে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়া হয় এবং নির্জন স্থানে নিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থাই দেশে এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির মূল কারণ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম ছয় (জানুয়ারি-জুন) মাসে চুরির ঘটনা ঘটেছে এক হাজার ১৬৫টি। ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৮৫টি। এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন পুলিশ সদস্য। এ সময় অস্ত্র উদ্ধার ও মামলা হয়েছে ৪৫টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে ৪০টি। শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা। বাড়ছে আন্ত জেলা ডাকাতদলের তৎপরতা।
সেই সঙ্গে জঙ্গিদের নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টাসংক্রান্ত খবরও আসছে গণমাধ্যমে। গত ২৮ আগস্ট রাজধানীর শ্যামলী লিংক  রোড এলাকা থেকে হাফিজুর রহমান নামের এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। সিটিটিসির মতে, তহবিল গঠনের লক্ষ্যে জঙ্গিরাও নানাভাবে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এ কাজে কোনো ধরনের শৈথিল্য কাম্য নয়। আমরা আশা করি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে দ্রুত সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন