পাবনায় ঋণ খেলাপের মামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনসহ পরোয়ানা থাকা ৩৭ কৃষক জামিন পেয়েছেন। জামিনের পর গত রবিবার বিকেলে কারাগার থেকে মুক্তি পান গ্রেপ্তার হওয়া ১২ কৃষক। আইনি সহায়তা নিয়ে এই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ৩৭ জন কৃষকের ঋণ পরিশোধের দায়িত্বও নিয়েছে মানবিক প্রতিষ্ঠানটি।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে মামলা করে খেলাপি ঋণ আদায়ের এই প্রক্রিয়াটি কতটা সঠিক? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ সমস্যার ধরন ও গভীরতা একটু ভিন্ন। আমাদের দেশের খেলাপি ঋণ দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত এক সমস্যা। আবার এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে শুধু ঋণগ্রহীতার কারণে কোনো একটি ঋণ খেলাপি হয় না। ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেও কখনো কখনো কোনো কোনো ঋণ খেলাপি হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের দেশে সব ধরনের খেলাপি ঋণের দায়ভার ঋণগ্রহীতাকেই বহন করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ নির্ধারণ করার পদ্ধতিটিও আধুনিক নয়। এমন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে ঋণ খেলাপি হলে এবং আদায় করা সম্ভব না হলে যেন খেলাপি ঋণ খুব সহজেই অবলোপন করা যায়। কিন্তু এই মানসম্মত নীতির অনুসরণ আমাদের দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নেই।
ঋণ খেলাপের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থাও আছে। অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করা হয়েছে। আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। কৃষকরা কেন হেনস্তার শিকার হবেন।