English

38 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

নতুন পরিকল্পনা করতে হবে: খেলাপি ঋণ আদায়ে

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

পাবনায় ঋণ খেলাপের মামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনসহ পরোয়ানা থাকা ৩৭ কৃষক জামিন পেয়েছেন। জামিনের পর গত রবিবার বিকেলে কারাগার থেকে মুক্তি পান গ্রেপ্তার হওয়া ১২ কৃষক। আইনি সহায়তা নিয়ে এই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ৩৭ জন কৃষকের ঋণ পরিশোধের দায়িত্বও নিয়েছে মানবিক প্রতিষ্ঠানটি।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষক গ্রুপ ভিত্তিতে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে জনপ্রতি ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নেন। ঋণ খেলাপের দায়ে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তখনকার ব্যবস্থাপক বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে মামলা করেন। কৃষকদের দাবি, ঋণ নেওয়ার পর এক বছরের মাথায় অনেকেই তাঁদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেছেন। এর পাস বই ও জমা স্লিপও রয়েছে। অথচ সেই কিস্তির টাকা ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে তাঁরা ব্যাংকের নথিতে খেলাপি হয়েছেন।
মামলার বাদী বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের তখনকার ব্যবস্থাপক বলেছেন, কৃষকরা ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা করা হয়। খেলাপি ঋণ আদায়ে এটা চলমান প্রক্রিয়া। তাঁরা তাঁদের দাপ্তরিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্য একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। কারণ এই ব্যবস্থাপকের মতো বেশির ভাগ ব্যাংকার খেলাপি ঋণ আদায়ের উপায় বলতে শুধু আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায় করাকে বুঝে থাকেন। অথচ তাঁরা বেমালুম ভুলে যান যে হাতে গোনা দু-একটি ঋণ খেলাপের ঘটনা হলে তা আদালতে মামলা করে আদায় করা যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিনের জমে থাকা বিশাল অঙ্কের খেলাপি ঋণ মামলার মাধ্যমে আদায় করা সম্ভব নয়।

 

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে মামলা করে খেলাপি ঋণ আদায়ের এই প্রক্রিয়াটি কতটা সঠিক? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ সমস্যার ধরন ও গভীরতা একটু ভিন্ন। আমাদের দেশের খেলাপি ঋণ দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত এক সমস্যা। আবার এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে শুধু ঋণগ্রহীতার কারণে কোনো একটি ঋণ খেলাপি হয় না। ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণেও কখনো কখনো কোনো কোনো ঋণ খেলাপি হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের দেশে সব ধরনের খেলাপি ঋণের দায়ভার ঋণগ্রহীতাকেই বহন করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ নির্ধারণ করার পদ্ধতিটিও আধুনিক নয়। এমন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে ঋণ খেলাপি হলে এবং আদায় করা সম্ভব না হলে যেন খেলাপি ঋণ খুব সহজেই অবলোপন করা যায়। কিন্তু এই মানসম্মত নীতির অনুসরণ আমাদের দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নেই।

ঋণ খেলাপের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থাও আছে। অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করা হয়েছে। আদালতের বাইরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কৃষকদের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। কৃষকরা কেন হেনস্তার শিকার হবেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন