English

31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
- Advertisement -

নাব্যতা রক্ষার উদ্যোগ নিন: সোনারগাঁয় নদীতে ময়লার ভাগাড়

- Advertisements -
দেশের বেশির ভাগ নদ-নদীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। উজানের ঢলের সঙ্গে আসা পলিতে নদী ভরাট হচ্ছে। বর্ষায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে। এসব বন্ধ করার উপায় নেই।
কিন্তু বর্জ্য ফেলে নদী ভরাট করার যে প্রক্রিয়া সারা দেশে চলমান, তা-ও কি আমরা বন্ধ করতে পারি না? দেশের বেশির ভাগ শিল্প-কারখানার তরল ও কঠিন বর্জ্য নদীতে ফেলা হয়। এর চেয়েও বেশি ফেলা হয় গৃহস্থালি বর্জ্য। শহরাঞ্চলের মধ্যে থাকা বা আশপাশে থাকা নদীগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে এই গৃহস্থালি বর্জ্যের কারণে। অনেক শহরেই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই।
নদীর পাশে থাকা হাটবাজারের ময়লাও নদীতে ফেলা হয়। অনেক পৌর কর্তৃপক্ষও বর্জ্য সংগ্রহ করে নদীতে ফেলে। আবার বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় নদীপারের মানুষ বাধ্য হয় নদীতে বর্জ্য ফেলতে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুরে ময়লা ফেলে মেনিখালী নদীর আধাকিলোমিটার এলাকা প্রায় সম্পূর্ণরূপে ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় কিছু শিল্পের তরল বর্জ্যও নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে নদীর পানি ব্যবহার তো দূরের কথা, দুর্গন্ধের কারণে আশপাশ দিয়ে হাঁটাও যায় না।
জানা যায়, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী মেনিখালী নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় কিলোমিটার। একসময় সোনারগাঁ পৌরসভাসহ পিরোজপুর, শম্ভুপুরা ও মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৫৫টি গ্রামের মানুষ স্নান ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি ফসলি জমিতে সেচের জন্য এই নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল ছিল।
কিন্তু এখন গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের তো প্রশ্নই ওঠে না, জমিতে সেচের কাজেও এই পানি ব্যবহার করা যায় না।
২৭টি সেচযন্ত্র বন্ধ হয়ে আছে। চাহিদামতো পানি না পাওয়ায় চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এমন অবস্থা শুধু মেনিখালী নদীর নয়, সারা দেশের আরো অনেক নদীর।
নদী রক্ষায় অনেক আইনকানুন রয়েছে। কমিশন গঠিত হয়েছে। নদী রক্ষায় সরাসরি দায়িত্ব পালন করে সরকারের তিনটি সংস্থা। এগুলো হলো পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) এবং জেলা প্রশাসন। আছে পরিবেশ অধিদপ্তর। দায়িত্ব আছে আরো অনেক সংস্থার এবং স্থানীয় সরকারেরও।
উচ্চ আদালত থেকে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করা হয়েছে, অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেসবের প্রয়োগ কোথায়? এসব সংস্থার ভূমিকা কোথায়? প্রতিনিয়ত নদী ভরাট হচ্ছে, ভরাট করা হচ্ছে এবং ভরাটকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ভরাট করা অংশে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ বিশেষ কারণে এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকছে। তা না হলে মেনিখালী নদীর এমন হাল হয় কিভাবে?
আমরা চাই, অবিলম্বে সোনারগাঁর মেনিখালী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করা হোক। নদীতে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করে নদীতে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি নদীর এমন দুরবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন