English

36 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন: বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

চট্টগ্রামে শিশু আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হয়েছিল গত ১৫ নভেম্বর। ২৪ নভেম্বর আবির আলী নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পিবিআই জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আবির বলেছেন, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করেছিলেন। এরপর ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধে আয়াতকে খুন করেন এবং লাশ ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেন। কী নৃশংস!

গত ৭ নভেম্বর বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের লাশ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। তাঁকে কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। গত ১২ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের উত্তর পানগাঁওয়ের বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নৌ পুলিশ উদ্ধার করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের লাশ। নৌ পুলিশের তথ্য বলছে, নদীতে ফেলে যাওয়া লাশের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে ৩২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ৪৯টি লাশের ক্ষেত্রে তদন্তে জানা গেছে, তাদের হত্যা করা হয়েছে। ১৬২টি লাশের হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। হত্যার পর লাশ গুমের নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে রাজধানীর চারপাশের বুড়িগঙ্গা, বংশী, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদী। গত ১১ মাসে শুধু বুড়িগঙ্গা নদী থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ৪১টি লাশ।

এদিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময় বগুড়ার ধুনটে আসামির হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। চাঁদপুরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এদিকে বরিশালে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক দোকানিকে কুপিয়ে এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সিলেটের কানাইঘাটে ধানক্ষেত থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনাগুলো ঘটেছে গত সোম ও মঙ্গলবার।

এসব নৃশংস ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে সমাজের কিছু মানুষ দিন দিন অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সামান্য কারণেই যখন খুনের ঘটনা ঘটছে তখন বলতে হবে, মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে গেছে।

১১ মাসে এই যে এতগুলো লাশ উদ্ধার হয়েছে, এতে উদ্বেগের কারণ আছে। এসব ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। অপরাধীরা গ্রেপ্তার না হলে এ প্রবণতা বাড়তে থাকবে। অপরাধের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেলে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হবে।

অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির কারণ কী? এটা ঠিক যে দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করলে খুনখারাবি বেড়ে যায়। কিন্তু এখন তো দেশে সেই অর্থে রাজনৈতিক কোনো অস্থিরতা নেই। তাহলে কি সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে? মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় কি একেবারেই চরমে পৌঁছেছে?

আমরা মনে করি, সব ঘটনা যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অপরাধীদের  চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন