গ্রামের স্কুলের লেখাপড়ার মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়েই মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব আছে। উপযুক্ত ভবন নেই, আসবাব বা শিক্ষা উপকরণ নেই বললেই চলে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জের হাওরের শাল্লা উপজেলার দুর্গম আটগাঁও, শাল্লা ও বাহাড়া ইউনিয়নের ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়মিত খোলা হয় না।
সম্প্রতি প্রতিনিধি এসব দুর্গম এলাকার ১৫টি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেছেন, বেশির ভাগ বিদ্যালয়ই বন্ধ। কিছু বিদ্যালয় খোলা থাকলেও প্রধান শিক্ষক নেই। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও কম। মাসের বেশির ভাগ সময়ই স্কুল বন্ধ থাকে। শিক্ষকরা সকাল ১১টার পর আসেন, আবার দুপুর ১টার মধ্যে চলে যান। শাল্লা উপজেলায় ১০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে ৮১ জন নতুন শিক্ষক পদায়ন করা হলেও বড় রকমের আর্থিক লেনদেনের কারণে দুর্গম এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কম। ফলে এসব এলাকায় শিক্ষকসংকট থেকেই যাচ্ছে।