English

29.8 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করুন: শাক-সবজিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক

- Advertisements -
দেশে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চিকিৎসকরা এর জন্য প্রধানত দায়ী করছেন পরিবেশদূষণ এবং খাদ্যদ্রব্যের দূষণ ও ভেজালকে। ভেজাল এত বেশি ছড়িয়ে পড়েছে যে উৎপাদক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি পর্যায়ে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলমূল, শাক-সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে এবং কীটনাশক ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময় পরই কেবল তা খাওয়া যায়।কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই সেই মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেন। আবার অনেক কৃষক সবজি ক্ষেতে সকালে কীটনাশক দিয়ে বিকেলেই সেই সবজি হাটে নিয়ে যান। অনেক বিক্রেতা পরিবহন ও বিক্রির সময় পর্যন্ত সবজিতে যাতে পোকায় ক্ষতি না করে সে জন্য কীটনাশক মেশানো পানিতে চুবিয়ে নেন। সবজি উৎপাদনে কী ধরনের সার ব্যবহার করা হয় তারও প্রভাব পড়ে জনস্বাস্থ্যে।
Advertisements

এই ক্ষতি রোধ করতে দেশে নানা ধরনের আইন রয়েছে, কিন্তু সেসব আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে।
সবজি ও ফলমূলে অতিমাত্রায় ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক নিয়ে নিকট অতীতে অনেক গবেষণা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু সেসব প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।

প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, দেশের ছয় জেলায় পরিচালিত গবেষণায় ৯টি সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে। সবজিগুলো হলো আলু, বেগুন, ঢেঁড়স, টমেটো, লালশাক, শিম, শসা, পটোল ও বাঁধাকপি। আর জেলাগুলো হলো ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও জামালপুর। এসব রাসায়নিকের মধ্যে ক্যাডমিয়াম, লেড, ক্রোমিয়ামসহ বেশ কয়েকটি ভারী ধাতু রয়েছে, যা শরীরে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সোমবার রাজধানীর শাহবাগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

একই সেমিনারে দেশের আম, লিচু, পেয়ারা ও বরইয়ে কত শতাংশ কীটনাশক রয়েছে, তা নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে ৩২০টি নমুনা পরীক্ষা করে গড়ে ১০ শতাংশের মধ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় কীটনাশক পাওয়া গেছে। ফলাফলে জানানো হয়, সবচেয়ে বেশি ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে লালশাকে।

Advertisements

মানব শরীরে ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা প্রতি কেজিতে ১৯০ মাইক্রোগ্রাম, লালশাকে পাওয়া গেছে ৭০৪.৩২ মাইক্রোগ্রাম। অন্যগুলোতেও ক্যাডমিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অনেক কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা রয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ প্রায় কিছুই হচ্ছে না। অবস্থা এমন হয়েছে যে ভেজাল খাদ্য খেয়ে অসুস্থ হলে সুস্থ হওয়ার জন্য যে ওষুধ খাওয়া হবে তাতেও ভেজাল পাওয়া যায়। আমরা মনে করি, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় রাষ্ট্রকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/nuc4
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন