অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ দুটিই বাড়ছে। রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে।
আগামী দিনে এই বিনিয়োগ টানতে এবার একটি পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। গত সোমবার সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে বিডা জানিয়েছে, প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ (পথনকশা) করা হবে।
বাংলাদেশ ছোট্ট একটি ভূখণ্ড, অথচ রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা। তাদের উপার্জনের নিশ্চয়তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্যও বাংলাদেশের শিল্পায়নকে দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।
বিদেশি বিনিয়োগ পেতে একসময় বাংলাদেশকে যথেষ্ট হা-পিত্যেশ করতে হয়েছে, কিন্তু তেমন বিনিয়োগ পাওয়া যায়নি। কারণ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসের নিশ্চয়তাসহ যে ধরনের ভৌত অবকাঠামোর প্রয়োজন, তার যথেষ্ট অভাব ছিল।
বর্তমানে সেই পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে এখন বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্মেলনে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
২.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে হাসপাতাল বানাতে যাচ্ছে মার্কিন কম্পানি বাংলা ইউএস এলএলসি। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের এই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলা ইউএস এলএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সার কারখানা নির্মাণের কথাও জানান ড. দাউদ। আমেরিকান বিনিয়োগকারী গ্রুপ ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানো ও বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে তিনটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে স্পেনের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স, সিমেন্ট খাতের কম্পানি লাফার্জহোলসিম ও চীনের অ্যাপারেল কম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ।
অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছে, তাকে ধরে রাখতে হবে। সে জন্য দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের বিনিয়োগের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।