English

32 C
Dhaka
রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখুন: রমজানে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির শঙ্কা

- Advertisements -

সারা বিশ্বে যেখানে উৎসবের আগে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে, সেখানে বাংলাদেশের চিত্র একেবারেই উল্টো। এখানে উৎসবের আগে নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে যায়। সামনেই রোজার মাস। প্রতিবছর রোজার আগে ভোক্তাদের মনে বাজারদর নিয়ে একধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়।

রোজার মাসে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। অনেক সময় তা ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যায়। এ বছর কি তার ব্যতিক্রম হবে?

গত রবিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবন অডিটরিয়ামে একটি সভার আয়োজন করে। সেখানে ব্যবসায়ীরা এমন আশ্বাস দিয়েছেন যে এবার রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে।

Advertisements

অবশ্য প্রতিবছরই রমজানের আগে ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করে উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। গত বছর সরকারের বেঁধে দেওয়া পণ্যমূল্য তদারকি করতে কমিটিও করেছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। ব্যবসায়ীদের আশ্বাসের প্রতিফলন বাজারে খুব একটা দেখা যায়নি।

বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেই সংগঠিত নয়। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। কোনো কোনো সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। রোজার সময় যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, এমন সাতটি পণ্য সাড়ে ১২ লাখ টন আমদানির জন্য গত জানুয়ারি মাসে ঋণপত্র খোলা হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি বলছে, ছোলা, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও পাম তেলের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।

পেঁয়াজের আমদানি ভালো। দামে অস্থিরতা নেই। ঠিকঠাকমতো আমদানি হলে চিনি ও খেজুরের সংকট হবে না। খেজুরের জন্য জানুয়ারিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার টন। সব খেজুর ঠিকঠাকমতো এলে উদ্বৃত্ত থাকবে। চিনি আমদানি নিয়েও শঙ্কা নেই। সয়াবিন তেল আমদানিও ভালো। জানুয়ারিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার টনের।

সেই তেল বাজারে পৌঁছলেই চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে। গত ছয় মাসে প্রায় দুই লাখ টন মসুর ডাল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। আগের ছয় মাসের তুলনায় এটা দ্বিগুণ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সারা দেশে মসুর ডালের চাহিদা বছরে ছয় লাখ টন। রমজান মাসে চাহিদা এক লাখ টন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৫ লাখ টন।

Advertisements

দেশে উৎপন্ন হয় ১৭ লাখ টন। আমদানি করা হয় সাত লাখ টন। আর শুধু রমজানেই প্রয়োজন হয় চার লাখ টন পেঁয়াজ। সেই পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, বাজার তদারকি নিশ্চিত করা গেলে নতুন করে এসব পণ্যের দাম বাড়বে না।

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তের জীবনে বেশ চাপ সৃষ্টি করছে। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকবে। সুতরাং সরকারের উচিত, এই সময়ে সরবরাহ ঠিক রাখা। আমদানি ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখা।

আবার সরকার চাইলেও বেশি আমদানি করতে পারবে না। তার অন্যতম কারণ হলো, ডলারের কিছুটা সংকট এখনো আছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার তদারকি জোরদার করার পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির বিপণন এবং খোলাবাজারে বিক্রি কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন