English

32 C
Dhaka
রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

ভিটামিন-এ নিশ্চিত করুন: ড্রামে ভোজ্য তেল বিক্রি

- Advertisements -
দেশে অনেক বিষয়ে আইন আছে, কিন্তু আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। ২০১৩ সালে প্রণীত ভোজ্য তেলে ভিটামিন সমৃদ্ধকরণ বিষয়ক আইন অনুযায়ী, সয়াবিন, পাম অয়েলসহ সব ভোজ্য তেলে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন-এ মেশানো বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপকরণ দিয়ে তৈরি পাত্রে ভোজ্য তেল বাজারজাত করা যাবে না। একই সঙ্গে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন-এ থাকতে হবে।
তা না হলে কেউ ভোজ্য তেল বিক্রি, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বাজারজাত করতে পারবে না। কিন্তু আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাজারে ড্রামে করে খোলা অবস্থায় যে তেল বিক্রি করা হয়, তার ৫৯ শতাংশে কোনো ভিটামিন-এ থাকে না, ৩৩ শতাংশে থাকে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম এবং মাত্র ৭ শতাংশ তেলে পরিমাণমতো ভিটামিন-এ রয়েছে। অথচ ১০ বছর ধরেই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এসব তেল বিক্রি হচ্ছে। তার পরও সরকার ড্রামের তেল বিক্রির মেয়াদ একের পর এক বাড়িয়ে যাচ্ছে।
ন্যাশনাল মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সার্ভে ২০১১-১২ অনুযায়ী, স্কুল-পূর্ববর্তী বয়সের শিশুদের প্রতি পাঁচজনে একজন ভিটামিন-এ ঘাটতিতে ভোগে। ভিটামিন-এ ঘাটতির কারণে শিশুরা দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা, চোখের শুষ্কতা, কর্নিয়ার ক্ষতি এবং রাতকানা রোগে আক্রান্ত হয়। শৈশবকালীন অন্ধত্বেরও বড় কারণ ভিটামিন-এ ঘাটতি। এ ছাড়া সব বয়সী মানুষের শরীরেই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন-এ।
তাই জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে ২০১৩ সালে ভোজ্য তেলে ভিটামিন সমৃদ্ধকরণ আইন পাস করা হয়। কিন্তু বাজারে প্রাপ্ত খোলা তেলে ভিটামিন-এর উপস্থিতি যে পর্যায়ে, তাতে আইনের প্রয়োগ কোথায়? কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাজারে ৬৫ শতাংশ তেলই আসে ড্রামে। বাকি ৩৫ শতাংশ তেল আসে বোতল বা প্যাকেটের মাধ্যমে, এরও শতভাগ তেলে ভিটামিন-এ পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১৩ শতাংশ বোতলে ভিটামিন-এ ছিল না। এ ছাড়া ড্রামের তেল ভোক্তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই ড্রামগুলো ফুডগ্রেড বা খাদ্যবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়নি। এগুলো নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য, লুব্রিকেন্ট ও অন্যান্য তরল দ্রব্য পরিবহনের জন্য তৈরি। আবার একই ড্রাম বারবার ব্যবহারের কারণে এবং খোলার পর দীর্ঘ সময় ড্রামে তেল রাখার কারণে সেগুলোতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এসব বিবেচনায় ২০২২ সালের ১৬ মার্চের মধ্যে ড্রামে তেল বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়।
এরপর কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সময়সীমা হলো ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি। কে জানে, এর পরও আবার সময় বাড়ানো হবে কি না!
আমরা আশা করি, ভোজ্য তেলে ভিটামিন-এ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর অবস্থান নেবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন