English

28.2 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে: সিলেট, সুনামগঞ্জ ও উত্তরাঞ্চলে বন্যা

- Advertisements -

বর্ষার শুরুতেই ভেসেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহর। বৃষ্টি আর অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সিলেট নগরীসহ পাঁচ উপজেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। আড়াই শর বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিলেট নগরে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার ১.৮ সেন্টিমিটার এবং সিলেট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সারি নদীর পানি বিপত্সীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
পানির উচ্চতা বেড়েছে কুশিয়ারা ও লোভা নদীরও। সুনামগঞ্জ শহরে একতলা কোনো বাড়িতে পানি উঠতে বাকি নেই। বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ। সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারা, শান্তিগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলা এখন পানিতে ভাসছে। সুনামগঞ্জের সঙ্গে সারা দেশের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করছে না। বন্যায় সুনামগঞ্জের ৮৫০ হেক্টর জমির আউশ ধান ও ১২০ হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। এর আগের বন্যায়ও আউশ ধান, বাদাম ও সবজি নষ্ট হয়েছে।
ওদিকে রংপুরে তিস্তার পানিতে তিন উপজেলার আটটি ইউনিয়ন তলিয়ে গেছে। তিস্তায় পানি বাড়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার প্রায় ১৫ গ্রামের দুই সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের তীরবর্তী ১৭টি গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জে যমুনায় পানি বাড়ায় আশপাশের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেট, সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যার কারণে সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

উজান থেকে নেমে আসা পানিতে চলতি মৌসুমের তৃতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেট অঞ্চলে। এর আগে গত এপ্রিলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে অসময়ে বন্যা দেখা দেয়। এরপর মে মাসের মাঝামাঝিতে সিলেটে ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আশঙ্কা করছে, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের পাশাপাশি নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

প্রতিবছরই বন্যা আসে প্রাকৃতিক নিয়মে। কিন্তু দেশের নদ-নদীগুলোর এখন যে অবস্থা, তাতে অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হয়ে সাগরে চলে যেতে পারছে না। বেশির ভাগ নদী ভরাট হয়ে গেছে। গভীরতা হ্রাস পাওয়ায় পানি ধরে রাখার ক্ষমতা হারিয়েছে অনেক নদী। সে কারণে যতই দিন যাচ্ছে বন্যার স্থায়িত্ব ও ভয়াবহতা বাড়ছে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণে এখনই স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে আপাতত দাঁড়াতে হবে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধসহ মেডিক্যাল টিম পাঠাতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন