English

33.3 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

শতভাগ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: এআই নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ

- Advertisements -
দেশ তথ্য-প্রযুক্তিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। শহরের সীমা ছাড়িয়ে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ তার প্রভূত সুফলও পাচ্ছে। ঘরে বসেই ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে।

ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের ৯০.৭৯ শতাংশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তথ্য-প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। শহরের সীমা ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে গেছে ইন্টারনেটসেবা।

এখন দেশে-বিদেশে যোগাযোগ করা কোনো কঠিন কাজ নয়। অনেককে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছে এই তথ্য-প্রযুক্তি। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে জীবনযাত্রা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে। সব ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন আসছে।
ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও কল, ইন্টারনেট চ্যাট ও অন্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ কিংবা তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। দেশে-বিদেশে নানা রকম যোগাযোগ হচ্ছে। বহু তরুণ-তরুণীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তারা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

ই-কমার্সের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।

এত বিপুল সুবিধার পাশাপাশি কিছু সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। ক্রমেই সাইবার ক্রাইম বা তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ বেড়ে চলেছে। তথ্য-প্রযুক্তিকে কোনো কোনো মহল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে নেতিবাচকভাবে। দেশে দিন দিন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে গুজব ও উসকানি ছড়ানো হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় এসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ‘জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা ২০২৪’ নামে এই নীতিমালার একটি প্রাথমিক খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে, যা দ্রুত চূড়ান্ত হবে। গুজব ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এআই নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে প্রাথমিক পর্যালোচনা, বিচার-বিশ্লেষণসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করেছে। এর মধ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে একটি অংশীজন সভা হয়েছে। সভায় সবার কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

নেতিবাচক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন থাকা দরকার। তবে আইনের প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/vtlp
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন