অবশ্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রশংসা করেছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতারও প্রশংসা করেন।
এটি স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বিগ্ন এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।তিনি আরো বলেছেন, ‘কূটনীতির মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনে বাংলাদেশ আমাদের দুই প্রতিবেশীকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরতির খবরে স্বস্তি ও উল্লাসের যে চিত্র দেখা গেছে, তা সাধারণ মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার আকাঙ্ক্ষাকেই প্রতিফলিত করে। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান এবং মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে মানুষ তাদের আনন্দ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের বাসিন্দারা যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে।
’ কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপকে ধন্যবাদ জানান।
তবে এই যুদ্ধবিরতিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে উভয় দেশকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা তৈরি করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এই শান্তিপ্রক্রিয়াকে সমর্থন ও সহযোগিতা করতে হবে।
আমরা মনে করি, এই যুদ্ধবিরতি একটি সুযোগ তৈরি করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তবে এর জন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস। শান্তি ফেরানোর এই পথে উভয় দেশের সরকার ও জনগণকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।