English

28.7 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

শান্তিপূর্ণ সমাধানই কাম্য: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি

- Advertisements -
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। বিশেষভাবে অস্বস্তির কারণ হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সেখানে নিঃসন্দেহে একটি স্বস্তির খবর।প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রতিবেশী দুটি দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগী হবে।

অবশ্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের এই সিদ্ধান্তকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রশংসা করেছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতারও প্রশংসা করেন।

এটি স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বিগ্ন এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।তিনি আরো বলেছেন, ‘কূটনীতির মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনে বাংলাদেশ আমাদের দুই প্রতিবেশীকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’

পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে যুদ্ধবিরতির খবরে স্বস্তি ও উল্লাসের যে চিত্র দেখা গেছে, তা সাধারণ মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার আকাঙ্ক্ষাকেই প্রতিফলিত করে। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান এবং মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে মানুষ তাদের আনন্দ প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদের বাসিন্দারা যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে।

জুলফিকার আলী নামের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের জন্য শান্তি মানে বেঁচে থাকা। আমরা যথেষ্ট কষ্ট সহ্য করেছি।’ একই সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনেও এই যুদ্ধবিরতি ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। বিভিন্ন দলের নেতারা এটিকে ‘একটি প্রয়োজনীয় ও মানবিক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য ও সাবেক কূটনীতিক শশী থারুর বলেন, ‘এখন সময় এসেছে শান্তির, শান্তি অপরিহার্য।

’ কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপকে ধন্যবাদ জানান।

তবে এই যুদ্ধবিরতিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে উভয় দেশকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা তৈরি করতে হবে। সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এই শান্তিপ্রক্রিয়াকে সমর্থন ও সহযোগিতা করতে হবে।

আমরা মনে করি, এই যুদ্ধবিরতি একটি সুযোগ তৈরি করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। তবে এর জন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস। শান্তি ফেরানোর এই পথে উভয় দেশের সরকার ও জনগণকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন