English

29.8 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

শান্তি বজায় রাখুন: উত্তপ্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

- Advertisements -
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গত শনিবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার পর রবিবার প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।গণমাধ্যমে আসা খবর থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটক এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। ঘটনার সূত্রপাত বাসচালক ও সহকারীর সঙ্গে বচসা থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে প্রথমে বিতণ্ডা হয় বাসের চালক ও সহকারীর।
Advertisements

বাসটি বিনোদপুরে এসে পৌঁছলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাসের চালক ও সহকারীর পক্ষ নিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে বিনোদপুর গেটের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়াধাওয়ি আর সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিও মোতায়েন করা হয়।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।গণমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এমন সন্দেহ হতে পারে যে ঘটনার সূত্রপাত যেভাবেই হোক না কেন, পরবর্তী সময়ে এর পেছনে তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধন যুক্ত হয়ে থাকতে পারে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ধরনের ঘটনার সূত্রপাত হলে একটি তৃতীয় পক্ষ সক্রিয় হয়।

তাদের একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে, সেই লক্ষ্য অর্জনে তারা তৎপর হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার পেছনেও কি তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধন আছে? কিন্তু সাধারণের মনে যে প্রশ্নটি আরো বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে তা হলো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার রেশ ধরে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত করে তোলার কোনো অপচেষ্টা শুরু হবে না তো? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটির সূত্রপাত ব্যক্তি পর্যায়ে হলেও এটাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হবে না তো?

হ্যাঁ, এটা ঠিক যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের মনে নানা প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন আছে স্থানীয়দের মনেও। বিশ্ববিদ্যালয় কি সঠিক সময়ে এ বিষয়ে সক্রিয় হয়েছে? প্রশাসন, বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন কি সঠিক সময়ে কার্যকর ভূমিকা নিতে পেরেছিল? এসব প্রশ্ন এখন সামনে চলে আসবে। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।

আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। গত শনিবার যে ঘটনা ঘটেছে, তার সুষ্ঠু তদন্তও হতে হবে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/s6b4
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন