English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

সংস্থাগুলোর সমন্বয় জরুরি: মুদ্রাপাচার রোধে সাফল্য কম

- Advertisements -

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে মুদ্রাপাচারের ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত পানামা পেপারস, প্যারাডাইস পেপারস, পেন্ডোরা পেপারসে বাংলাদেশের অনেকের নাম এসেছে। মালয়েশিয়ার মাই সেকেন্ড হোম প্রকল্প, কানাডার বেগমপাড়া, দুবাই কিংবা অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের অনেকের বাড়ি বা বিপুল সম্পত্তি থাকার খবরও এসেছে গণমাধ্যমে। ধারণা করা হয়, বছরে লাখো কোটি টাকার বেশি পাচার হয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে।

কিন্তু পাচার রোধে আমাদের সাফল্য খুবই কম। উদ্যোগও কম। এর একটি প্রধান কারণ মুদ্রাপাচার রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, আইনি দুর্বলতা ও জবাবদিহির অভাব। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এ ধরনের সমন্বয়হীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) ২০২১ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের ছয় বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে চার হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার। প্রতি ডলার ৯৩ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ চার লাখ ৬১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) তথ্য মতে, এর বাইরেও নানাভাবে অর্থ পাচার হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রতিবছর পাচার হচ্ছে অন্তত এক লাখ কোটি টাকা।
গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইনটেলিজেন্স ও অন্যান্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এই অর্থের প্রায় ৮০ শতাংশই পাচার হয় ব্যবসা-বাণিজ্য বা আমদানি-রপ্তানির আড়ালে। অথচ বিদ্যমান আইনে এখতিয়ার না থাকায় এ ধরনের অনেক অভিযোগই তদন্ত করতে পারছে না দুদক। দুদক ছাড়া আরো ছয়টি সংস্থা এ ক্ষেত্রে কাজ করে। সেগুলো হলো—বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কাস্টম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসংক্রান্ত আইন ও বিধি অনুযায়ী ২৭টি সম্পৃক্ত অপরাধের মধ্যে ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংক্রান্ত একটি সম্পৃক্ত অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্তভার এককভাবে দেওয়া হয়েছে দুদককে। বাকি ২৬টি সম্পৃক্ত অপরাধের তদন্ত বা অনুসন্ধান করবে অন্য ছয়টি সংস্থা।
তা সত্ত্বেও একমাত্র দুদকই বিদেশে পাচার করা অর্থ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে, আর কোনো সংস্থা তা পারেনি। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অনেক সংস্থা আলাদাভাবে কাজ করার কারণেই বিদেশে অর্থপাচার রোধে সরকারের সাফল্য কম। তাঁরা মনে করেন, এ ক্ষেত্রে একটি সংস্থাকে মূল ভূমিকা পালনের দায়িত্ব দিতে হবে।
আর সেটি হতে পারে দুদক। দুদকই অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে অর্থপাচার রোধে সামগ্রিক পরিকল্পনা করবে এবং সবাইকে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবে। আমরাও চাই, দেশ থেকে এই ঘৃণ্য অপরাধ নির্মূল হোক। এ ক্ষেত্রে দুদককে আরো শক্তিশালী করতে হবে। বিদ্যমান আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনতে হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন