অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বারবার সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নীরব ভূমিকা পালন করছে। তাদের দায়সারাভাবে গঠিত একটি কমিটি এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি, যা দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
এই সংকট কেবল কাগজশিল্পেই সীমাবদ্ধ নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভুল নীতিগুলো সামগ্রিক অর্থনীতিকে ভুগিয়েছে। ডলারের বিনিময় হার নিয়ে একের পর এক ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ মুদ্রাবাজারকে অস্থিতিশীল করেছে।আইএমএফের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে নীতি সুদ হার বৃদ্ধি এবং বাজারভিত্তিক বিনিময় হার কার্যকর করায় ডলারের দাম বাড়ছে, যা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং দুর্বল ব্যাংকগুলোর ঘুরে দাঁড়াতে না পারাটাও আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতাই নির্দেশ করছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাজারের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য।