এসব নমুনা পরীক্ষায় ১৩৭ জনের কলেরা শনাক্ত হয়েছে। সে হিসাবে পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৪৩.৯১ শতাংশ। অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকেও ডায়রিয়া রোগীদের চিকিত্সা হচ্ছে। সেখানেও কলেরা রোগী থাকতে পারে।
এরই মধ্যে ঢাকা থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামে গেছে। তারা গত সোমবার থেকে কাজ করেছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও একই দিন থেকে আলাদাভাবে কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ থেকে কলেরা প্রায় নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে আবার কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি এর চিকিত্সাসংশ্লিষ্ট সবার কপালে নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
এ বছর এপ্রিলের শেষ দিক থেকেই সারা দেশে তীব্র গরম পড়ছে। তেষ্টা মেটাতে মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ যেখানে-সেখানে পানি পান করেন। এটি ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। চিকিত্সকরা মনে করেন, এ ছাড়া ডায়রিয়ায় ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হওয়ার আরো কারণ থাকতে পারে।
অনুসন্ধান কাজ শেষ হলেই প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমন আলামতকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ডায়রিয়া একটি জীবাণুঘটিত রোগ এবং জীবাণু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণেই ডায়রিয়ার প্রকোপ এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সঙ্গে কলেরার উপস্থিতি প্রমাণ করে শুধু ডায়রিয়া নয়, কলেরার জীবাণুও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। কিভাবে সেই জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে তা জানতে হবে এবং প্রতিরোধের জন্য দ্রুত সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডায়রিয়ার এমন ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষকেও অনেক বেশি সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। খোলা ও বাসি খাবার সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।
বিশুদ্ধ পানি পান করার কিংবা ফুটিয়ে পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এসব ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ কর্মসূচি পালন করতে হবে। ওয়াসাকে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাম এলাকায় নলকূপের ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত চট্টগ্রামের ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হবে।