গত শনিবার ছিল বিশ্ব টয়লেট দিবস। ‘বাদ যাবে না একজনও’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে। ওই দিনই প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখনো প্রায় পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার পরিবার শৌচাগার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর করা ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শৌচাগার সুবিধায় সবচেয়ে পিছিয়ে রংপুর বিভাগের মানুষ।
প্রায় দুই কোটি মানুষের বাস যে শহরে, সেখানে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। এমনিতেই যানজটে প্রচুর সময় চলে যায়। অনেক স্থানে পার্ক বা ফুটপাতকে পথচারীরা বানিয়ে ফেলেছে অস্থায়ী শৌচাগার। পর্যাপ্ত শৌচাগার না থাকায় রাজধানীতে নারীদের সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়তে হয়। এতে ক্ষতি হচ্ছে তাদের। দীর্ঘ মেয়াদে অনেকের রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও আছে।
সময়মতো ইউরিনেট না করলে ব্লাডারের ওপর চাপ বেড়ে আয়তন বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় ব্লাডারের অপারেশনও করতে হয়। ব্লাডারের ক্ষতির পাশাপাশি কিডনিরও সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় টয়লেট চেপে রাখার কারণে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। শপিং সেন্টার ও মসজিদগুলোকে এ ধরনের সেবার আওতায় এনে পাবলিক টয়লেটের উন্নয়ন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে।