English

25.7 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫
- Advertisement -

যাত্রী ভোগান্তি দূর করুন: বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনা

- Advertisements -

দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা চরমে উঠেছে। বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তি। বিদেশগামী কিংবা বিদেশ থেকে আসা—সবাইকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। ১০ ঘণ্টা করে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে যাত্রীরা।

তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে আগামী তিন মাস রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত রানওয়ে বন্ধ থাকছে। ফলে বাংলাদেশের প্রধান এই বিমানবন্দর ব্যবহারকারী এয়ারলাইনসগুলোকে তাদের সময়সূচি পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে। স্বল্প সময়ে বেশি ফ্লাইটের চাপ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে এখন একজন যাত্রীর তিন-চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে প্রতিদিন ২৭টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের ১১০ থেকে ১২৮টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটে দৈনিক ২০ হাজারের বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে নিয়োজিত বিমানের পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম নেই। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ও অন্যান্য সুবিধা সেভাবে না বাড়ায় যাত্রীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষা যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রাতারাতি বাড়ানো যায় না। এ ছাড়া বিমানবন্দরে স্থান স্বল্পতা, বোর্ডিং ব্রিজ, বাস-ট্রলির স্বল্পতা, ইমিগ্রেশন ও হেলথ ডেস্কে লোকবলের অভাবে ধাপে ধাপে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

করোনার কারণে পিসিআর পরীক্ষার দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। কিছু দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক। আবার একই সময়ে একসঙ্গে অনেক যাত্রীর নমুনা নিতে গিয়ে কিছুটা ভোগান্তি হয়।

দেশের প্রধান বিমানবন্দরের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবস্থাপনার আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ থাকবে—এই সিদ্ধান্ত রাতারাতি বা হঠাৎ করে হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে নিশ্চয় প্রস্তুতি নেওয়ার মতো যথেষ্ট সময় ছিল। সেই সময় কি কাজে লাগানো হয়েছে?

অনতিবিলম্বে বিমানবন্দরের সুবিধা না বাড়ালে সামনের দিনগুলোতে যাত্রীদের আরো ভোগান্তি পোহাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আট ঘণ্টা বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে ওই সময়ের ফ্লাইটগুলো দিনে সমন্বয় করতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে হবেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বাড়তি চাপ মোকাবেলায় ইমিগ্রেশন, হেলথ ডেস্ক, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/wl6i
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন