English

26 C
Dhaka
সোমবার, মে ২০, ২০২৪
- Advertisement -

হুন্ডি রোধে ব্যবস্থা নিন: কমছে প্রবাস আয়

- Advertisements -

করোনা মহামারির মধ্যেও গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয় দেশে এসেছিল অনেক বেশি। তার বিপরীতে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) প্রবাস আয় প্রায় ২১ শতাংশ কম এসেছে। আর গত নভেম্বরে প্রবাস আয় এসেছে মাত্র ১৫৫ কোটি ডলার, যা ছিল গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

Advertisements

প্রবাস আয় এভাবে কমার জন্য বিদেশ থেকে বৈধ পথে অর্থ প্রেরণের অতিরিক্ত খরচকে দায়ী করা হচ্ছে। খরচ বেশি হওয়ায় অনেক বাংলাদেশি হুন্ডি, বিনিময় বা অন্যান্য অবৈধ উপায়ে টাকা পাঠাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বৈধ পথে প্রবাস আয় পাঠানোকে উৎসাহিত করতে সরকার প্রণোদনার পরিমাণ ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করেছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাস আয় পাঠালে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয়। এতে সেই অর্থবছরে প্রবাস আয় আসে ১৮.২০ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৩৬ শতাংশ বেড়ে প্রবাস আয় আসে ২৪.৮০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি অর্থবছরে এই ধারা নিম্নমুখী হতে থাকে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রণোদনা বৃদ্ধির এই পরিমাণ খুবই সামান্য হয়েছে। এতে কতটা সুফল পাওয়া যাবে, তা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

Advertisements

গত জুনে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ১০০ ডলার বা সাড়ে আট হাজার টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের গড়ে প্রায় সাড়ে তিন শ টাকা খরচ করতে হয়। ২ শতাংশ হিসেবে প্রণোদনা দেওয়ায় তাঁরা পেতেন ১৭০ টাকা। এখন প্রণোদনা ২.৫ শতাংশ হওয়ায় তাঁরা পাবেন ২১৩ টাকা, এর পরও তাঁদের বাড়তি খরচ হবে ১৩৭ টাকা। অন্যদিকে হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে তাঁদের প্রায় কোনো খরচই হয় না। উপরন্তু খোলাবাজারে ডলারের দামও পাওয়া যায় বেশি। বর্তমানে আন্ত ব্যাংক লেনদেনে এক ডলারে পাওয়া যায় ৮৬ টাকার কম, আর খোলাবাজারে পাওয়া যায় ৯০ থেকে ৯১ টাকা। এসব কারণে অনেক প্রবাসী হুন্ডিতে টাকা পাঠাতেই বেশি আগ্রহী হন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমে যাওয়া ছাড়াও রাষ্ট্র নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হুন্ডির অর্থে যেমন চোরাচালান বৃদ্ধি পায়, তেমনি জঙ্গি অর্থায়নসহ আরো অনেক অপরাধ তৎপরতায় এই অর্থ ব্যবহৃত হয়। একই সঙ্গে বাড়ে মুদ্রাপাচারসহ অন্যান্য আর্থিক অপরাধ।

চলতি অর্থবছরে সরকার প্রবাস আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২৬ বিলিয়ন ডলার। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রবাসী আয় পাঠানোর খরচ কমাতে হবে। প্রণোদনা আরো বাড়াতে হবে। এসব সুবিধা প্রবাসীদের জন্য সহজলভ্য করতে হবে। একই সঙ্গে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন