English

26.6 C
Dhaka
সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫
- Advertisement -

একই সঙ্গে নাব্য করা হোক: ঢাকার খাল পুনরুদ্ধার

- Advertisements -

কয়েক দশক আগেও ঢাকার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতো অর্ধশতাধিক খাল। জলাবদ্ধতার সমস্যা ছিল না বললেই চলে। ক্রমে লোভী মানুষের আগ্রাসনের শিকার হয়ে অনেক খালই হারিয়ে গেছে। খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজেরও বলি হয়েছে কিছু খাল। কিছু কিছু খাল কোনো রকমে অস্তিত্ব ধরে রাখলেও সেগুলোতে নেই পানির প্রবাহ। দুই পাশ থেকে অব্যাহতভাবে চলছে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের অপচেষ্টা। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিক আন্দোলন যেমন হয়েছে, তেমনি উচ্চ আদালত থেকেও খালগুলো পুনরুদ্ধার ও নাব্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খালগুলোর বর্তমান অবস্থাই বলে দেয় সেসব দাবি ও নির্দেশনা কার্যত কতটা গুরুত্ব পেয়েছে।
রাজধানীর খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে অতীতে অনেক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও অনেক অর্থ ব্যয় করে চালানো সেসব অভিযান বাস্তবে প্রায় কোনো কাজেই আসেনি। অভিযানে কিছু স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার অভিযানের পরপরই সেসব জায়গায় নতুন করে স্থাপনা তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ খালে পড়ে থাকায় সেগুলো আবার দখলের কাজটি সহজ হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকার বেশির ভাগ খাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায় দুই সিটি করপোরেশন। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গত রবিবার থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় থাকা লাউতলা খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে। জানা যায়, খালের দুটি অংশ রয়েছে। একটি অংশের প্রস্থ ছিল প্রায় ১০০ ফুট, অন্যটির প্রস্থ ছিল ৪৬ ফুটের মতো। কিন্তু কোনো কোনো স্থানে খাল পুরোটাই দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সেসব স্থাপনা ভাঙা হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অভিযান বাধাগ্রস্ত করারও চেষ্টা করছে। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দখলমুক্ত করার পাশাপাশি খননের মাধ্যমে খালটিকে নাব্য করারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মাঝেমধ্যে লোক-দেখানো অভিযান পরিচালনা না করে স্থায়ীভাবে খাল পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ২০১৭ সালেও উচ্চ আদালতের এক রায়ে বলা হয়েছিল ঢাকার ৫০টি খালের মূল গতিপথ ঠিক রেখে সীমানা নির্ধারণ, সংরক্ষণ, দখলমুক্ত করা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এর আগেও একাধিকবার উচ্চ আদালত থেকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী চারটি নদী ও ঢাকার মধ্যে থাকা খালগুলো দখলমুক্ত ও নাব্য করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে গতিতে দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে এ কাজে কত দশকের প্রয়োজন হবে তা কেউ জানে না। আমরা চাই, খাল পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম দ্রুততর করা হোক। একই সঙ্গে স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/yk7v
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন