English

35 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

নৌ ফায়ার স্টেশন দরকার: অরক্ষিত নদীপথ

- Advertisements -

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে গত ২৪ ডিসেম্বর। রাত ৩টা ২৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। তারা ৩টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানো ও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। নদীর যেখানে লঞ্চটিতে আগুন লাগে, ওই এলাকা ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন ট্রলারে করে।
খবরে বলা হচ্ছে, সুগন্ধা-বিষখালী-ধানসিঁড়ি-গাবখান—এই চার নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ঝালকাঠি বন্দর। খুলনা ও মোংলা বন্দরে প্রবেশের জন্য রয়েছে দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক কৃত্রিম চ্যানেল। এই নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন জাহাজ ও লঞ্চের পাশাপাশি ছোট-বড় অসংখ্য নৌযান বরগুনা, খুলনা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন নৌবন্দরে চলাচল করে। সুগন্ধা নদীর তীরেই রয়েছে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কম্পানির তেলের ডিপো। নদীপথেই কার্গোতে আসে অকটেন, পেট্রল ও ডিজেল। অথচ ঝালকাঠির এই নদীপথ অরক্ষিত। নদীবেষ্টিত গুরুত্বপূর্ণ এ জেলায় নৌপথের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নৌ ফায়ার স্টেশন নেই। জেলার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনটি দ্বিতীয় শ্রেণির। সেখানে নেই নৌ অ্যাম্বুল্যান্স, স্পিডবোট ও ডুবুরিদল। ফলে লঞ্চ ও জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ঘটলেই হচ্ছে প্রাণহানি।
শুধু ঝালকাঠি নয়, পুরো বরিশাল বিভাগের নৌপথের সুরক্ষায় ফায়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় এক হাজার ২০০ কিলোমিটার নৌপথে অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষায় নৌ ফায়ার স্টেশন আছে দুটি। একটি বরিশালে, অন্যটি পটুয়াখালীতে। এ দুটি নৌ ফায়ার স্টেশনে কোনো নৌ অ্যাম্বুল্যান্স নেই। পটুয়াখালীর নৌ ফায়ার স্টেশন চলছে শুধু একটি স্পিডবোট নিয়ে। এই দুই ফায়ার স্টেশনের আধুনিকায়নে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা করে ফায়ার স্টেশন দুটির সক্ষমতা বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরগুনা ও ভোলা জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলা পুরোপুরি নদীবেষ্টিত। সামগ্রিক বিবেচনায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় কমপক্ষে আট থেকে ১০টির মতো নৌ ফায়ার স্টেশন দরকার বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন।

নৌ ফায়ার স্টেশন থাকলে দেশের নদীপথ সুরক্ষা পাবে। অন্তত যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত রেসপন্স করতে পারবে এসব ফায়ার স্টেশন। যেমন করেছে গত সোমবার চাঁদপুরে।

দেশের নৌপথের সুরক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলে নৌ ফায়ার স্টেশন স্থাপনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন