English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করুন: মাংসের দাম বাড়ছে

- Advertisements -

বাংলাদেশের গবাদি পশু খাত এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। চার বছর আগেও দেশের চাহিদার বড় অংশ মিটত প্রতিবেশী দুই দেশ থেকে আমদানি করে। ভারতে মোদি সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে গবাদি পশুর লালনপালন ব্যাপক হারে বেড়ে যায়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছাগলের সংখ্যা, মাংস ও দুধ উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ বৈশ্বিক সূচকে ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। এখন গ্রামে মাছ, মুরগি, গবাদি পশুসহ নানা মাত্রিক উদ্যোগ গড়ে উঠছে।
গরু আমদানি কমে যাওয়ার পর থেকে দেশে দেশি জাতের গরুর খামার করার হার বেড়ে গেছে। দেশি গরুর বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরও বাজারে গরুর মাংসের দাম বাড়ছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে যে দামে বাজারে মাংস বিক্রি হচ্ছে, তা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। তাঁদের মতে, আবার দেশের ভোক্তা এক কেজি মাংসের জন্য যে দাম দিচ্ছেন, সে অনুসারে কৃষক দাম পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে দাম কমাতে না পারলে মাংসের চাহিদা আরো কমে যাবে। এতে কৃষকের উৎপাদনও কমে যাবে। এই খাতটি একটি দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়বে। তাঁরা মনে করেন, বাজারে মাংসের যাতে যৌক্তিক মূল্য থাকে সে বিষয়ে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে খামারিরা বলছেন, গোখাদ্য, জায়গা ও পরিবহন ভাড়া, খাজনা ইত্যাদি বাড়ায় তাঁরা গরুর দাম পাচ্ছেন না। একজন বাজার আচরণ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, খামারিরা গরু বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন, বিষয়টা এমন নয়। ভোক্তা অধিক দামে মাংস কিনছেন, তাতে খুচরা বিক্রেতা লাভবান হচ্ছেন, সেটাও বাস্তবে ঘটছে না। এ অবস্থায় সব পক্ষকে স্বস্তি দিতে গেলে সরবরাহব্যবস্থা আরো যুগোপযোগী করার বিকল্প নেই।

বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেই সংগঠিত নয়। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীকে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। কঠোরভাবে বাজার নজরদারি করা হলে এই প্রবণতা রোধ করা সম্ভব। সরকারকে মূল ভূমিকা নিতে হবে। সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বয়। সে দক্ষতা সরকারকেই দেখাতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন