English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

দ্রুত বিচার নিশ্চিত করুন: নরসিংদীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন জারির পরও ধর্ষণ বন্ধ হয়নি। প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ছোট শিশুরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ঘটছে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাও।

গত ডিসেম্বরে রাজধানী থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক পর্যটক। তাঁর স্বামীসহ আট মাসের শিশুসন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। সপ্তাহের প্রথমার্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষার্ধে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহপরিচারিকা।
গত শনিবার রাতে নরসিংদীর পলাশে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের পাশে স্বামীকে আটকে রেখে মারধর করে গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। ধর্ষণে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। দুজনকেই এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণ মামলাগুলোর বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ দায়েরে দেরি হওয়া, সঠিকভাবে সঠিক সময়ে আলামত সংরক্ষণ না করা, অর্থাৎ পরীক্ষার আগেই ধর্ষণের শিকার নারীর দেহ, পোশাকসহ আলামত ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলা, ফরেনসিক পরীক্ষায় দুর্বলতা, অভিযোগের সপক্ষে জোরালো সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব বা ভয়ে-চাপে সাক্ষী অনুপস্থিত থাকা, মামলার তদন্তে অবহেলা, অদক্ষতা, দুর্বলতা বা সঠিক তদন্ত না হওয়ায় রেহাই পেয়ে যায় ধর্ষণে অভিযুক্তরা, বিচার পান না ধর্ষণের শিকার নারীরা। তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়সীমা ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয় না বলেও অভিযোগ আছে। আবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কিছু ব্যবস্থা নিলেও তাতে অপরাধ থামছে না। এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে, সেই কারণগুলো দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।

নরসিংদীতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এ ধরনের ঘটনা একটি সভ্য সমাজে কেন ঘটবে? এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী?

এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, আইনের সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষণ ও ধর্ষণজনিত বীভৎসতার বিচার দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোকে দায়িত্ব পালনে আরো বেশি সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। পাশাপাশি অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই প্রশ্রয় না পায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে শক্ত সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আইনের বিষয়গুলো স্পষ্ট করার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক সামাজিক ব্যবস্থা গড়তে হবে। সংস্কার আনতে হবে প্রচলিত বিচারব্যবস্থায়। আইনের সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোকে দায়িত্ব পালনে আরো বেশি সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। সব ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন