English

28.5 C
Dhaka
সোমবার, জুন ২৩, ২০২৫
- Advertisement -

দ্রুত সংশোধন করুন: জন্ম নিবন্ধন সনদ

- Advertisements -

জন্ম সনদ কেন লাগে, কোথায় লাগে—এ সম্পর্কেও সাধারণ মানুষ খুব একটা অবহিত ছিল না। জন্ম সনদ কিভাবে পাওয়া যাবে সেটাও তেমন জানা নেই মানুষের। ফলে স্কুলে ভর্তি বা অন্য কোনো প্রয়োজনে সমস্যায় পড়তে হয়। সংশ্লিষ্ট অফিসে সে জন্য ধরনা দিতে গিয়ে নাকাল হতে হয়।

নাগরিকদের ১৮টি সেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং চারটি সেবা পেতে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। যাদের জন্ম ২০০১ সালের পর তাদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য মা-বাবার জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক। সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেকে। এর আগে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়েই যে কারো জন্ম নিবন্ধন করা যেত। এখন তা করা যায় না। ফলে স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে আটকা পড়েন অনেক মা-বাবা। আগে তাঁদের জন্ম নিবন্ধন করতে হয়, তারপর হয় সন্তানের জন্ম সনদ। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় সূত্রের খবর অনুযায়ী গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন পড়েছে ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৫টি। আর সংশোধনের আবেদন পড়েছে ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৯টি।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, জন্ম নিবন্ধন সনদে একের পর এক ভুল পাওয়া যাচ্ছে। বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। নতুন করে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে কিংবা নামের বানান সংশোধন করতে নাগরিকদের পদে পদে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের টাকা দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিধি অনুযায়ী জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য ১০০ টাকা এবং পিতার নাম, মাতার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। সংশোধনের পর সনদের কপি বিনা ফিতে সরবরাহের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী অনেকেরই অভিযোগ, সনদ সংশোধন করতে গিয়ে সরকারি ফির কয়েক গুণ বেশি টাকা দিতে হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, সার্ভারে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য রাখা হচ্ছে টাকার জন্য।

সময়ের বিষয় নিয়েও জটিলতা আছে। জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়। এসব আবেদন সংশোধনে দাপ্তরিক কাজ শেষ হয়ে আসতে অনেক সময় লাগে। তাতে অনেক সময় সনদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।

অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ঘরে ঘরে মানুষকে জন্ম সনদ সংশোধন করতে গিয়ে এভাবে নাকাল হতে হবে কেন? ভুল সংশোধনে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে নাগরিক হয়রানি বন্ধ করুন।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/rau8
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন