English

29 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

অবৈধ দখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিন: খাসজমি ও খাল-নদী গ্রাস

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

প্রশাসনের উপযুক্ত নজরদারির অভাবে সারা দেশেই সরকারের খাসজমি দখল করে নিচ্ছে একটি দুর্বৃত্ত শ্রেণি। শুধু খাসজমি নয়—খাল-বিল, এমনকি নদীর জায়গাও দখল করে নিচ্ছে এরা। আবার সেসব জায়গা এরা বিক্রিও করে দিচ্ছে। এরা বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ও নদীতীরের মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে।

নদী থেকে অবাধে বালু তুলছে। পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে। দিন দিন এরা যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। কোথাও দখলদার বা মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি বিচ্ছিন্ন চর এলাকার নাম চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন। এখানকার চারটি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালীরা। ফলে খালগুলো দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সেখানে থাকা প্রায় ৩০০ একর খাসজমিও তাদের দখলে চলে গেছে।
সেসব জমি চাষের জন্য ইজারা দেওয়া হচ্ছে। কিছু জমি বিক্রিও করা হচ্ছে। দ্বিতীয় খবরটিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফেনী নদীর বাঁধের একটি অংশ থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে স্থানীয় যুবলীগের কয়েকজন কর্মী। এতে বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হলেও প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাটিখেকোদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তৃতীয় খবরটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার। এখানকার কামরাঙ্গাচালা এলাকায় একটি সরকারি খাল ভরাট করে ডায়িং কারখানার ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
এতে খালটির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আসন্ন বর্ষায় ৮-১০টি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানেও খাল ভরাটের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। এ ধরনের খবর প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে দেখা যায়, খুলনার পাঁচটি উপজেলায় নদীর জায়গা দখল করে ২৭টি ইটখোলাসহ বহু স্থাপনা গড়ে উঠেছে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত আড়িয়ালখাঁ নদে বাঁধের পর বাঁধ দিয়ে প্রবাহ বন্ধ করে ফেলা হয়েছে। কোনো কোনো বাঁধের ওপর দিয়ে পারাপারের সড়ক তৈরি হয়েছে। এসব বাঁধ সরানো না হলে অচিরেই নদীটির মৃত্যু হবে। এ রকম ঘটনা সারা দেশে অহরহ ঘটছে।

প্রশাসন যদি এসব না দেখে এবং দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে দুর্বৃত্ত শ্রেণি উৎসাহিত হবেই। তাদের দখলদারি ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে। প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অবহেলার ফলেই আজ সারা দেশে দখলদারি এত বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক জায়গায় এদের উচ্ছেদ করতে গিয়েও এখন যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। তাই দখলদারির বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা  নিতে হবে।

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন